Sharing is caring!
যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩ মিনিটেই আঘাত হানতে সক্ষম উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাত্র ৩৩ মিনিটে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করেছে একদল চীনা গবেষক। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আদলে তৈরি আন্তঃমহাদেশীয় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর এ কথা জানিয়েছেন তারা। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের। যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ নৌ মহড়ার মধ্যেই এক সপ্তাহে চতুর্থবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় কিম প্রশাসন। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের জলসীমায় অবতরণের আগে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় বলে জানায় গণমাধ্যম।
এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ও একাধিক ছবি প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএন। এর থেকে জানা যায়, সবশেষ পিয়ংইয়ংয়ের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি নিষিদ্ধ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং সেভেন্টিন। যা ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এবার নিষিদ্ধ এ ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে নতুন খবর সামনে আনলো চীনা একদল প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী। তাদের দাবি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং সেভেন্টিন মাত্র ৩৩ মিনিটেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানতে সক্ষম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে চীনের বিশ্লেষকরা তাদের পর্যবেক্ষণে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা অবস্থানের নাম উল্লেখ করেননি। বিশেষ করে এবার উত্তর কোরিয়ার হুয়াসং-১৫ মিসাইল নিয়ে একথা বললেন গবেষকরা।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আদলে তৈরি আন্তঃমহাদেশীয় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর এ কথা জানিয়েছেন তারা। উত্তর কোরিয়া এমন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ২০১৭ সালে প্রথমবার চালিয়েছিল। হুয়াসং-১৫ একটি দ্বি-পর্যায়ের ক্ষেপণাস্ত্র। এটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩১ হাজার কিলোমিটার বা আট হাজার মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
চীনের বিশ্লেষক দলের প্রধান ও বেইজিংয়ের ইন্সটিটিউট অব ইলেকট্রনিক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষক তাং ইউয়ান বলেন, উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো অংশে আঘাত হানতে সক্ষম।