Sharing is caring!
কলেজছাত্রীর মামলায় জামিন পেলেন সেই ইউএনও
হামিদ আল মামুন রানা,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে কলেজছাত্রীর দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঞ্জুর হোসেন। সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আব্দুল আহাদ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।এর আগে মঞ্জুর হোসেন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আজ উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের শেষ দিন হওয়ায় তিনি নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেন।
ইউএনও মঞ্জুর হোসেন রাজবাড়ীর পাংশা থানার চরঝিকড়ী গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি হিসেবে সংযুক্ত আছেন।এর আগে মঞ্জুর হোসেনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন জেলার মির্জাপুর উপজেলার এক কলেজছাত্রী। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২৩ জানুয়ারি (সোমবার) টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা সুলতানা তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।টাঙ্গাইল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর আলী খান বলেন, ইউএনও মঞ্জুর হোসেন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে উভয়পক্ষের বিস্তারিত শুনানি শেষে বিচারক ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৬ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ইউএনও। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ থাকায় বিচারক আজ সোমবার শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, মঞ্জুর হোসেন ২০২১ সালে বাসাইলে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে মির্জাপুরের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মঞ্জুর হোসেন বিভিন্ন সময় ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। তাকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে যান। টাঙ্গাইল শহরে বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা একত্রে কয়েক মাস বসবাসও করেন। পরে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে মঞ্জুর হোসেন তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২১ জুন ওই কলেজছাত্রী আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।