Sharing is caring!
সাতকানিয়া প্রতিনিধি
মৃদুল চক্রবর্তীর ছেলে শান্ত চক্রবর্তী (২৮) কে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাতকানিয়া উপজেলাধীন কালিয়াইশ গ্রামে।শান্ত চক্রবর্তী কৃষিকাজ ও ছোট গরুর খামারের ব্যবসা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর মাধ্যমে জানা যায় গত ০৪-০৩-২০২৩ ইং তারিখে দুপুর ২ ঘটিকায় জমি হতে বাড়ি যাওয়ার সময় শান্ত চক্রবর্তীকে কে বিবাদী অনত্ত চক্রবর্তী জিজ্ঞেস করে ০৩-০৩-২০২৩ ইউনিয়ন পরিষদে আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ কেন করেছ? প্রতি উত্তরে শান্ত চক্রবর্তী কোন উত্তর না দেয়ায় বিবাদী ২ নং আসামী নিতাই চক্রবর্তী গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেস্টা করে।
তখন ১নং বিবাদী পাশে থাকা ইট দিয়ে শান্ত চক্রবর্তীর কপালের ডান পার্শ্বে সজোরে আঘাত করে।১নং আসামী অনন্ত কুমার চক্রবর্তী শান্ত চক্রবর্তীকে পুনরায় আঘাত করে। শান্ত চক্রবর্তী রক্তাক্ত অবস্থায় বেহুস হয়ে পরলে এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উদ্ধারে এগিয়ে আসে।
মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনার সূত্রপাত এর আগের দিন। শান্ত চক্রবর্তীর খরে আগুন দেন অনন্ত চক্রবর্তী ও তার দলবল।লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে।
স্থানীয় এলাকাবাসী শান্ত চক্রবর্তীকে সাতকানিয়া উপজেলা কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কপালে ৮ সেলাই করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন।
বাদী শান্ত চক্রবর্তী প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাতকানিয়া থানায় মামলা করতে গেলে বিভিন্ন অজুহাতে মামলা নেবে না বলে জানিয়ে দেন।
পরে চট্টগ্রাম আদালতে বাংলাদেশ দন্ডবিধি ৩২৩,৩২৪,৩২৫,৩২৬,৩০৭,৫০৬/২,৪২৭/৩৪ ধারায় মামলা করেন।
মামলার স্বাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুজন চক্রবর্তী,শিল্পী চক্রবর্তী,রুপন চক্রবর্তী জানান,শান্ত চক্রবর্তীকে গলায় গামছা পেচিয়ে যেভাবে ইট দিয়ে মেরে ফেলতে চায়ছিল আমরা উপস্থিত না থাকলে মেরে ফেলত।
কালিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ আহম্মদ জানান, গত ০৩-০৩-২০২৩ শান্ত চক্রবর্তী আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করার পরও যেভাবে আঘাত করা হয়েছে তা মোটেও কাম্য নয়।
স্থানীয় বাসিন্দা পিকলু দাশ জানান অনন্ত কুমার চক্রবর্তী সবসময় গায়ের জোর দেখান। এলাকাবাসী কারো সাথে অনন্ত কুমার চক্রবর্তীর সম্পর্ক নেই।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই এমরান জানান,শান্ত চক্রবর্তীকে আঘাত করার বিষয়টি সত্য। আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।
বিবাদী অনন্ত কুমার চক্রবর্তীকে বিষয়টি জানার জন্য কল করা হলেও তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, অনন্ত কুমার চক্রবর্তী টাকার জোর দেখান।থানায় মামলা না নেয়ার জন্য ওনি থানাকে অনেক টাকা ও দিয়েছেন। শান্ত চক্রবর্তী একজন অসহায় কৃষক।আমরা এর সঠিক বিচার চায়।