Sharing is caring!
মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ২নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের লকচুয়া-বালিয়াধর খাল খননের পর খননকৃত মাটি খালপাড়ে নিয়মানুযায়ী রাখা হয়েছে। খাল খননে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ঐ মাটি ব্যবহার করে আসছিল। গত কয়েক দিন থেকে স্থানীয় জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি ঐ মাটি নিলামে ক্রয় করছে দাবি করে খালপাড় থেকে মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকের ফসলি জমি নষ্ট করে কৃষকদের আরো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী কৃষকরা বৃহস্পতিবার বিকেলে খাল পাড়ের মাটি বিক্রির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
গোমাতলী খালপাড়ে স্থানীয় কৃষক নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কৃষক কবির পাটোয়ারী, মহরম পাটোয়ারী, সত্তর হোসেন, খালেদ জুয়েল প্রমুখ। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন, এই মাটি রামনারায়নপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার থেকে নিলামে ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেন। অথচ নিয়ম মোতাবেক নিলামে মাটি বিক্রি করার পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন নোটিশ, এলাকায় মাইকিং কিংবা পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেননি। নিলামে মাটি বিক্রি করা হলে তা করা হয়েছে অত্যন্ত গোপনে ও সুকৌশলে। তাই ভুক্তভোগী কৃষকরা ঐ নিলাম বাতিল করে কৃষকদের রক্ষা করতে সরকারের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া’র স্বাক্ষিরত নিলামে মাটি বিক্রয় কার্যাদেশ মোতাবেক ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত লকচুয়া-বালিয়াধর খাল চেইনেজ কিঃমিঃ৩.৫০০ হতে কিঃমিঃ ৬.৫০০ (লোহারপুল থেকে ইটপুকুরিয়া বাজার পর্যন্ত) মাটি খাল পাড় থেকে অপসারণের সময়সীমা। সময়সীমার পরও খালপাড় থেকে মাটি অপসারণ করছেন নিলাম গ্রহিতা জাকির হোসেন। এব্যাপারে নিলাম গ্রহীতা জাকির হোসেনের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া’র সঙ্গে শুক্রবার (০৩ মার্চ) দুপুরে যোগাযোগ করলে তিনি মাটি বিক্রি করার কথা স্বীকার করে বলেন, নির্ধারিত সময়সীমার পর মাটি অপসারণের আর কোন সুযোগ নাই।