Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ফরিদ মিয়া (৪০) নামের এক কৃষক খুন হয়েছে। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা শুক্রবার রাতে তাকে খুন করে লাশ ফেলে রেখে যায়। পর দিন শনিবার সকালে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের বীর সলিল গ্রামে। সে ওই গ্রামের তোরাফ আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নিহত ফরিদ তার বাড়ির পাশে জমিতে বিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্প বন্ধ করতে মেশিন ঘরে যায়। ওই রাতে সে আর বাড়ি ফিরে না। নিহত ফরিদের চাচাতো ভাই জাকির হোসেন জানান, ফরিদের সাথে রাত ১১ টার দিকে বাড়ীর সামনে তার দেখা হয়। এসময় ফরিদ তাকে জানায় সেচপাম্প (মেশিন) বন্ধ করে বাড়ি ফিরবে। আরেক চাচাতো ভাই মধু মিয়া বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে জমি দেখতে সেচ মেশিন ঘরের দিকে যায়। মেশিন ঘর বন্ধ থাকায় দরজার ফাঁক দিয়ে উকি মেরে দেখে, ফরিদের নিথর আংশিক দেহ চৌকির উপর পড়ে আছে। পা নিচে ঝুলছে। পরে তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ও স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে মেশিন ঘরের দরজা খুলে ফরিদের হাত ও মুখ বাঁধা মৃত দেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। নিহতের গলায় মুখে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। সে মাদক সেবী ছিলো। মাদক নিয়ে খুন হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত্র রির্পোট পেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও তিনি জানান।