২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে মাদারীপুরে বদলে গেছে ছিন্নমূল মানুষের জীবন

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ২০, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে মাদারীপুরে বদলে গেছে ছিন্নমূল মানুষের জীবন

Sharing is caring!

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে মাদারীপুরে বদলে গেছে ছিন্নমূল মানুষের জীবন

স্টাফ রিপোর্টার মাদারীপুর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে মাদারীপুরের হতদরিদ্র দুই শতাধিক পরিবারের মানুষের জীবন। সদর উপজেলার পেয়ারপুর মোস্তফাপুর, কালিকাপুর, কুনিয়া এলাকায় ছিন্নমূল মানুষের জন্য মুজিববর্ষে বিনামূল্যে ঘরের সঙ্গে রয়েছে বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, রান্নাঘর ও বাথরুমের সুবিধা। এ আবাসনে সড়ক যোগাযোগে পরিবর্তন আনতে নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন রাস্তাও।সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি কেনা যেখানে দুঃস্বপ্ন ছিল, সেখানে বিনামূল্যে ২ শতাংশ জমিসহ বসতঘর পেয়েছেন তারা। এসব ঘরের সামনেই কেউ কেউ করেছেন ফুল আর ফলের বাগান, কেউ আবার করছেন সবজির চাষ। সব মিলিয়ে একটি স্বস্তিকর জীবন পেয়ে দারুণ খুশি তারা। কলাগাছিয়া এলাকার সুবিধাভোগী নাসিরা বেগম বলেন, নিজের ঘর না থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রীর কৃপায় নতুন ঘর পেয়ে এখন সুখেই আছি। কখনও ভাবতে পারিনি নিজের একটা ঘর হবে। সরকারের এমন মহৎ উদ্যোগ আমাদের জীবন ধন্য করেছে। এ প্রসঙ্গে মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় হতদরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে ঘর দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। ছিন্নমূল মানুষ এ সুবিধার আওতায় আসায় পাল্টে যাচ্ছে তাদের জীবনযাত্রার মান। সদর উপজেলায় বিনামূল্যে দুই শতাধিক পরিবার এ ঘর পেয়েছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন জানান, সম্প্রতি সদর উপজেলায় ভূমিহীনদের সংখ্যা শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। চার মাস আগে ৪টি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় হতদরিদ্রদের হাতে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেয়া হয়। এর মাধ্যমে সদর উপজেলার ২১৩টি ছিন্নমূল পরিবার পেয়েছে নতুন ঠিকানা। প্রতিটি আশ্রয়ণের এক একটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এদিকে সম্প্রতি কুমার নদের পাড়ে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, সমাজের ছিন্নমূল মানুষসহ সবাইকে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে সরকার।তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন, সেটি বাস্তবায়ন হলে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের মুখে হাসি থাকবে।