Sharing is caring!
দেশের দারিদ্র্যসীমা ৪০ থেকে কমিয়ে ২১ ভাগে এনেছে সরকার
স্টাফ রিপোর্টার মাদারীপুর : বর্তমান সরকার টানা ১৪ বছর ক্ষমতায়। এ সময়ের মধ্যে দারিদ্র্যের হার শতকরা ৪০ ভাগ থেকে কমিয়ে ২১ ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিরীন শারমিন বলেন, হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যাপক কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে পরিচালিত হচ্ছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে যারা বাস করছেন, তাদের নানান ধরনের ভাতা দিচ্ছে সরকার। ভবিষ্যতে মাতৃকালীন, বিধবা, প্রতিবন্ধী, শিক্ষা ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা বাড়ানো হবে। তৃণমূল পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, দেশের কৃষক মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। যে উন্নয়নের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেটা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। দেশের ব্যাংকিং সেবার মধ্যে কীভাবে কৃষকের অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সে লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর বেশি নারী। নারীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার ব্যাপক কার্যক্রম করছে। তাদের দক্ষতার উন্নয়ন, ক্ষুদ্র-মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আনা। নারীদের জন্য জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা। তথ্য প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটারসহ নানান প্রশিক্ষণ দিয়ে এগিয়ে আনছে সরকার। এ ছাড়া ই-কমার্স অনলাইনের মাধ্যমেও নারীরা কীভাবে ব্যবসা করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সামগ্রিক পরিকল্পনার ভেতরে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, ছিন্নমূল মানুষ, নারী ও শিশু অন্তর্ভুক্ত থাকবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই আলম লিটন চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দেসহ অনেকে।