২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জনগণের সেবা করাই আমাদের লক্ষ্য: শেখ হাসিনা

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
জনগণের সেবা করাই আমাদের লক্ষ্য: শেখ হাসিনা

Sharing is caring!

জনগণের সেবা করাই আমাদের লক্ষ্য: শেখ হাসিনা

শেখ তিতুমীর রিপোর্ট পিআইডি ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই সেটা হচ্ছে, জনগণের সেবা করা।বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গণবভন থেকে ভার্চুয়ালি দেশের ৪৫টি উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, একটা সময় দেশের মানুষ বিভিন্ন রোগের যথাযথ চিকিৎসা পেত না, এখন পাচ্ছে। আমরা চাই হাসপাতালগুলোতে রোগীর সেবা আরও যেন বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে সবাইকে সহায়তা করতে হবে। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য একটাই, সেটা হচ্ছে দেশের জনগণের সেবা করা। ২০২১ সালে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সর্বজনীন চিকিৎসাসেবাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার কাজ করা হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপনে অনেকেই আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ডা. মোদাচ্ছের আলী, ডা. দ্বীন মোহাম্মদের কথা বিশেষভাবে বলতে চাই; এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।আমরা সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করেছি, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেয়ায় করোনায় মৃত্যু কম হয়েছে। আমরা সাহস করে টিকা এনেছিলাম। বিনামূল্যে মানুষকে টিকা দিয়েছি। করোনায় উন্নত বিশ্বে যে ক্ষতি হয়েছে, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ায় বাংলাদেশে তা হয়নি।
আমরা আই ভিশন সেন্টারগুলো উদ্বোধন করছি, তবে অন্যান্য সেবার সঙ্গে অবশ্যই চোখের চিকিৎসাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের এ উদ্যোগের ফলে এখন অনেক অন্ধ মানুষ চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন।
তিনি বলেন, উপজেলাগুলোর হাসপাতালেই সব ধরনের চোখের সমস্যায় রোগীরা যেন সেবা নিতে পারবেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেমন প্রসূতি মায়ের চিকিৎসাসেবা দেয়ায় বর্তমানে নবজাতক অন্ধত্ব এখন নাই বললেই চলে। একমাত্র প্রসূতি মায়ের চিকিৎসার কারণে অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব হয়েছে। সুস্থ শিশু জন্মগ্রহণের সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা চিকিৎসাসেবার সঙ্গে গবেষণাও জোরদার করেছি। দেশের বড় বড় জেলাগুলোতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করেছি। বিভাগগুলোতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব, সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। মেডিকেল কলেজগুলোতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দেশের হাসপাতালগুলোতে বেড ছিল মাত্র ৩৮ হাজার; এটি এখন ৬৭ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। চক্ষু ইনস্টিটিউটসহ প্রতিটি ইনস্টিটিউট আওয়ামী লীগের সময়ে প্রতিষ্ঠিত। শিশু হাসপাতাল প্রতিটি বিভাগে হওয়া উচিত। শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে ট্যাক্স তুলে নেয়া হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনায় ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব কাজ শুরু করতে পারিনি। তবে শিগগিরই কাজ শুরু করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এর আগে ৭০টি, এখন ৪৫টি উপজেলায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছি। লোকজন যেন সহজে হাসপাতালে আসতে পারেন সে জন্য রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করে দিয়েছি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ অনেকে।