২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

থামছেই না বোমা মেশিনের তান্ডব! হুমকির মুখে সরকারি স্থাপনা ও ফসলি জমি

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১, ২০২৩
থামছেই না বোমা মেশিনের তান্ডব! হুমকির মুখে সরকারি স্থাপনা ও ফসলি জমি

Sharing is caring!

 

মোঃ তারাজুল ইসলাম নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের খামাতপাড়া গ্রামে ফসলি জমি থেকে নিষিদ্ধ শ্যালো/বোমা মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে ভু-গর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে । সমতল ফসলি জমি থেকে বালু তোলার কারণে ভূমি ধসের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বসতভিটাসহ তিস্তা সেচনালা প্রকল্প।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের অবহেলায় বালু দস্যুরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অত্র এলাকায়।
খামাতপাড়া গ্রামের ফিরোজুর রহমান (ফিরোজ) দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসলেও তা দেখার কেউ নেই।

রবিবার (১লা জানুয়ারি) বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চলছে দুটি বোমা মেশিন।স্থানীয়রা জানায়,মো. সাইদার রহমানের ছেলে ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে, অবৈধভাবে বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পার্শ্ববর্তী জমির মালিক ও এলাকাবাসী। বোমা মেশিন দিয়ে সমতল মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পাশের ফসলি জমি দেবে যাওয়াসহ পাশের তিস্তা সেচনালা ও পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জমির মালিক বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বললে বালুদস্যুরা চড়াও হয় তাদের উপর। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনকে অবগত করেও কোনো সুরাহা মিলেছ না। যে জমি থেকে বালু তোলা হচ্ছে সেই জমিসহ আশপাশের সমস্ত জমি বালু তোলার কারণে জমির তলদেশ ফাঁকা হয়ে যাবে। এতে যে কোনো সময় বিশাল এলাকা নিয়ে জমি দেবে যেতে পারে।

এ বিষয়ে বালু উত্তোলন কারী ফিরোজুর রহমান বলেন, নিজস্ব জমি থেকে বালু উত্তোলন করছি, অন‍্যের জমি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, যে এলাকায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তার খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।