
সাকিব আলম মামুন
লংগদু, রাঙামাটি
রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সোনাই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বসত বাড়ি ও গৃহপালিত পশু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১০ ডিসেম্বর শনিবার রাত সাড়ে আট টার সময় বিদ্যুৎ এর শর্ট সার্কিট থেকে ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। জাহাঙ্গীর আলম লংগদু উপজেলার মাইনীমূখ ইউনিয়নের ৫নং সোনাই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
ঘটনার সাথে সাথে স্থানীয় যুবক সাইফুল ইসলাম ছুটে এসে দুটি গরু এবং কিছু আসবাবপত্র বের করতে সক্ষম হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল বলেন, আমি এসে দেখি পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, পরবর্তীতে চিৎকার চেচামেচি শুনে এলাকার লোকজন সবাই এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন, এস.আই শাহাবুর, এস.আই এনামুল সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে লংগদু জোনের উপ অধিনায়ক মেজর রিয়াজ আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করে। কিন্তু আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে যাওয়ায় কোনো কিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনায় জাহাঙ্গীরের আলমের স্ত্রী নুর নাহার বেগম বলেন, সন্ধ্যার পরে আমি আমার ছোট সন্তানকে নিয়ে পাশের বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ আমার ছেলে এসে চিৎকার করে বলছে মা আমাদের ঘরে আগুন লেগেছে, এটা শুনে সবাই দৌড়ে আসি। এর আগে ঘরের দিকে একটি বিকট শব্দ হয়, মনে হচ্ছে বিদ্যুৎ এর মিটার থেকে অগ্নিকাণ্ড হয়। ঐ সময় আমার বাড়িতে কেউ ছিলো না।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যখন ঘরে আগুন লাগে তখন আমি বাজারে, খবর পেয়ে দৌড়ে আসি। কিন্তু ততক্ষণে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। আগুন কিভাবে লেগেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ একবার চলে গেছে। যখন আবার আসছে তখনি আমার ঘরে বিকট শব্দ হয়, আর সাথে সাথে ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন যেখান থেকে লেগেছে সেখানে আমাদের বিদ্যুৎ এর মিটার লাগানো ছিলো। ধারণা করা যাচ্ছে মিটার বিস্ফোরিত হয়েই অগ্নিকাণ্ড হয়। তিনি জানান এঘটনায় নগদ ও আসবাবপত্র সহ তার প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় দুটি গরু ও দুটি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
এলাকার সাধারণ জনগনের মুখে একটি দাবী লংগদুতে যে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করা হচ্ছে তা যেন খুব শীঘ্রই চালু করা হয়।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল উদ্দীন বলেন, আজকের ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে পানি, বিদ্যুৎ, আগুন এসব বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।