২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আসক ফাউন্ডেশন চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে মানবাধিকার দিবস পালিত।

প্রকাশিত ডিসেম্বর ১০, ২০২২
আসক ফাউন্ডেশন চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে মানবাধিকার দিবস পালিত।

Sharing is caring!

মোঃ সফিউল আজম রুবেল চট্টগ্রাম

আজ ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে জাতিসংঘে ‘মানবাধিকারের’ সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এ বছর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের ‘৭৫ বছর পূর্তি’ পালিত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও এই দিবস পালিত হচ্ছে। মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিগনিটি, ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস ফর অল’ (‘মানব-মর্যাদা, স্বাধীনতা আর ন্যায়পরায়ণতা, দাঁড়াব সকলেই অধিকারের সুরক্ষায়’)। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়।
১০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১:৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
আসক’র চট্রগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসকের কেন্দ্রীয় পরিচালক সৈয়দ মাহফুজ হান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে আসক’র কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়,জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডঃ বেলাল মৃধা, নুরুল বাশার, রেজাউল করিম,জামাল চৌধুরী বিপ্লব, ইসমাইল ইমন, নাছির উদ্দিন নীরব, এয়ার মোহাম্মদ, নাছির উদ্দিন মোল্লা, মোহাম্মদ উল্লাহ, মোঃ শফিউল আজম রুবেল, মিথিলা চৌধুরী,তাহেরা শারমিন ও রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত মানবাধিকারের মূলনীতি গুলোকে বাংলাদেশ সংবিধানেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের ১১নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানব সত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে। সংবিধানে খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা,চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য,কর্মসংস্থান, বিশ্রাম ও চিত্তবিনোদন এবং সামাজিক নিরাপত্তা মতো অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানবাধিকারগুলো এবং নাগরিক,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সুরক্ষার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে না পারলে মানবাধিকারের কথা কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে তা লঙ্ঘিত হতেই থাকবে।
এসময় একাত্মতা প্রকাশ করে চট্রগ্রাম বিভাগীয়, জেলা ও মহানগরের একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস, হিউম্যান এইড ও ইউনিটি ফর ইউনিভার্সেল হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ। মানববন্ধন শেষে আসক’র নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি জামাল খান চেরাগী মোড় হয়ে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।