ফ্লোরা জানান, তিনি পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন। প্রাক্তন প্রেমিক তথা প্রযোজক গৌরাঙ্গ দোশি তাকে অকথ্য অত্যাচাার করেছেন।
অভিনেত্রীর অভিযোগ প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। কারণ প্রেমিক বলেছিল, ভালোবাসলে তা প্রমাণ করে দেখাতে হবে। শুরুতে ফ্লোরার সঙ্গে খুব মিষ্টি ব্যবহার করতেন গৌরঙ্গ। শ্রদ্ধা ওয়াকারের হত্যা সম্পর্ক বলতে গিয়ে নিজের অতীত ঘেঁটে দেখলেন ফ্লোরা। জানান, প্রযোজক প্রেমিক তার ফোন পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছিলেন যাতে পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে না পারেন।
ফ্লোরা বলেন, ‘বাবা-মায়েরা আগেভাগে বুঝতে পারেন, জানেন। শ্রদ্ধার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল। প্রথমে ওরা আপনার থেকে আপনার পরিবারকে আলাদা করে দেবে। আমিও বাড়ি ছেড়েছিলাম। ওর সঙ্গে থাকতে শুরু করার এক সপ্তাহের মধ্যে আমাকে মারধর শুরু করে। আমি বুঝতেই পারতাম না কেন হঠাৎ করে আমাকে মারছে, কারণ আমি ভাবতাম ও খুব ভালো একজন মানুষ’।
অভিনেত্রী যোগ করেন, ‘প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে বাড়ি না ছাড়তে বারবার অনুরোধ করেছিল বাবা-মা, তবে তিনি কথা শোনেননি জেদের বশে। সেটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝে যান ফ্লোরা। প্রযোজক প্রেমিককে ছেড়ে চলে যেতে চাইলে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল ‘ফুলওয়া বৌদি’কে। নায়িকার কথায়, গৌরাঙ্গ দোশি হুমকি দিয়েছিলেন ‘আমার ঘর ছাড়লে তোমার বাবা-মাকে মেরে ফেলব'।
ফ্লোরার অভিযোগ, ‘একদিন রাতে মেরে আমার চোয়াল ভেঙে দিল। এরপর নিজের বাবার ছবি হাতে নিয়ে বলল, বাবার নামে শপথ করে বলছি, আজ রাতেই তোকে শেষ করে দেব। সেইসময় আমার মায়ের আওয়াজটা কানে বাজছিল। ও পিছন ঘুরতেই আমি দৌড়াতে শুরু করি, ভাবিনি আমার শরীরে পোশাক আছে কি নেই, আমার কাছে টাকা-পয়সা আছে কী নেই! শুধু দৌড়েছিলাম, ফিরে তাকাইনি’।
উল্লেখ্য, ‘দাবাং ২’, ‘স্ত্রী’, ‘লক্ষ্মী’, ‘ধনক’, ‘স্ত্রী’র হিন্দি সিনেমায়ও কাজ করেছেন ফ্লোরা। বাংলার ওটিটি প্ল্য়াটফর্মেও কাজ করেছেন ‘গন্দি বাত’ খ্যাত অভিনেত্রী। ফুলওয়া বৌদি হিসাবে ‘দুপুর ঠাকুরপো’র তিন নম্বর সিজনে দেখা গিয়েছিল তাকে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস