Sharing is caring!
মহানগর প্রতিনিধি চট্টগ্রাম
চলতি মাসের মাঝামাঝি তে এসে কারখানা বন্ধ করে দেন চট্টগ্রামের চাক্তাই ভেড়ার মার্কেটস্থ ডিপস এপ্যারেল লিঃ নামে একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, আগামী ১২/১২/২০২২ ইং তারিখে বেতন পরিশোধ করবে এই মর্ম্মে একটি নোটিশ লাগিয়ে হঠাৎ ১৭ই নভেম্বর ২২ইং তারিখে গার্মেন্টসে তালা ঝুলিয়ে দেন গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ। সকালে কারখানায় আসা শ্রমিকরা তালা ও নোটিশ দেখে কারখানার বন্ধের বিষয়ে জানাজানি হলে উক্ত কারখানার ৭০০ থেকে ৯০০ শ্রমিক চাক্তাইয়ের ব্যস্থতম রোড পুরোটাই বন্ধ করে। এই খবর পেয়ে বাকলিয়া থানা একটি টিম ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের উত্তেজিত অবস্থা দেখে সাধারণ জনগণের জান-মালের কথা বিবেচনা করে দামপাড়া পুলিশ লাইন থেকে রিজার্ভ মহিলা পুলিশের একটি টিম মোতায়ন করেন। পরে ঘটনাস্থলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও র্যাব-৭ এর টিমও উপস্থিত হয়।
শ্রমিকের নেতৃত্ব দেওয়া উক্ত কারখানার কামাল নামে এক শ্রমিকের সাথে কথা বললে তিনি জাতীয় সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকাকে বলেন, চলতি মাসের বেতন বোনাস না দিয়েই মাসের মাঝামাঝি সময়ে কোন নোটিশ না দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকপক্ষ। বিগত দিনের কোন বেতন বোনাস বাকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলতি মাসের বেতন বোনাসই বাকি আছে বলে জানান মো কামাল। কামাল আরো বলেন এতগুলো শ্রমিক কি করবে এবং কোথায় যাবে, এই মাঝামাঝি সময়ে তাদের পরিবারও কিভাবে চালাবে? শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারও দাবি করেন তিনি।
উক্ত বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার সাজেদ কামালের সাথে কথা বললে তিনি জাতীয় সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকাকে বলেন, ডিপস এপ্যারেল লিমিটেড নামে একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন- বোনাস না দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় শ্রমিকরা রোড অবরোধ করেছে শুনে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই, যেহেতু আমরা মালিকপক্ষের সাথে এখনো কোনো কথা বলতে পারেনি তাই সঠিক কোন তথ্য মিডিয়াকে দিতে পারছি না। তবে শ্রমিকদের দাবি, তাদের চলতি মাসের বেতন না দিয়েই ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক বিচার প্রদান করবেন সুবাদে রোডের যানজট অবরোধ মুক্ত করেন বলে জানান সাজেদ কামাল।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা ইয়ামিনের সাথে কথা বললে তিনি জাতীয় সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকাকে বলেন, ডিপস এপ্যারেল লিঃ আগামী ১২/১২/২০২২ তারিখে বেতন পরিশোধ করার একটি নোটিশ লাগিয়ে মাসের মাঝামাঝি সময়ে কারখানা বন্ধ করে দেন। এতে কারখানার সাধারণ শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে রোড অবরোধ করে দেন। মালিক পক্ষের সাথে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো তাদের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারি নাই, যোগাযোগ হলে মিডিয়াকে তা জানানো হবে বলেও জানান।