২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সময় এসেছে ভারতের

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১৭, ২০২২
আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সময় এসেছে ভারতের

Sharing is caring!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :- আঞ্চলিক রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চীন-ভারতের প্রতিযোগিতা কারো অজানা নয়, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার তুলনামূলক ছোট অর্থনীতির দেশগুলোর ওপর তাদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। গত দুই দশকে এ ক্ষেত্রে চীনের দাপট চোখে পড়ার মতো হলেও, প্রতিবেশীদের মধ্যে নিজের প্রভাব পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে ভারত। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভয়াবহ রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াতে বেইজিংয়ের ব্যর্থতা দৃশ্যপটে তুলে আনছে দিল্লিকে। এ ছাড়া এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতেও ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে ভারত।
করোনা মহামারি এবং সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে জ্বালানি ও খাদ্যসংকট। ফলে রাজস্ব ঘাটতি, বৈদেশিক ঋণের চাপ ও দুর্নীতি বেড়ে গিয়ে কমেছে রফতানি আয় ও বাণিজ্যিক বৈচিত্র্য, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা দুর্বলতাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
গুরুতর রাজনৈতিক অস্থিরতার সাক্ষী হওয়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ছাড়াও চলমান সংকট কাটাতে আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে অনেক দেশ। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি মালদ্বীপ ও ভুটানেও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে; জোরালো হচ্ছে সংস্কারের দাবি।
পুরো অঞ্চলে এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতেও বেশ উদাসীন দেখা গেছে বিশ্বের কথিত পরাশক্তিগুলোকে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি-অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে ভারত। সেই আগ্রহও রয়েছে দেশটির। প্রতিবেশী দেশগুলোকে তাদের সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করার জন্য সক্রিয়তার দিক থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে এগিয়ে দিল্লি।
প্রভাবক্ষেত্র
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের বড় প্রভাব পড়েছে ভারতের প্রতিবেশী অনেক দেশের ওপর, যার সাম্প্রতিক উদাহরণ দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা। সংকটে থাকা এ অঞ্চলের অনেক দেশ এখন অর্থনৈতিক ত্রাণকর্তা হিসেবে বিবেচনা করছে ভারতকে। যার নেপথ্যে রয়েছে নয়াদিল্লির তুলনামূলকভাবে সুপরিচালিত অর্থব্যবস্থা এবং চীনের বিভ্রান্তিকর নিষ্ক্রিয়তা।
এ ছাড়া ভারতের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানও জ্বালানি সংকট এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে এতটাই জর্জরিত যে, দেশটির নিজের জন্যই মূলত এখন এক হুমকি।
অন্যদিকে নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় চীনমুখী সরকার প্রতিস্থাপিত হয়েছে, যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রতি তার সমর্থনে অবিচল রয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আংশিকভাবে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উন্নয়নের কারণে এ পরিবর্তন ঘটেছে। মালদ্বীপের কর্তৃত্ববাদী আবদুল্লাহ ইয়ামিনের চীনপন্থি সরকার ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয় এবং এর তিন বছর পর ভারতবিরোধিতার কারণে নিজ দলেরই রোষানলে পড়ে একই পরিণতির শিকার হন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ, গণতন্ত্রের পথে একটি স্বর্গরাজ্য ভুটান। কিছুটা বিচ্ছিন্ন দেশ হলেও ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। জলবিদ্যুৎ খাত হলো ভারত-ভুটান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রধান ক্ষেত্র। ভুটান জলবিদ্যুৎ থেকে এত বেশি শক্তি উৎপাদন করে যে তার উদ্বৃত্ত শক্তির প্রায় ৮০ শতাংশ ভারতে রফতানি করা হয়।
সার্বিকভাবে এই সবকিছুর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ও অর্থনীতিতে অবস্থান আরও সুসংহত হয়েছে ভারতের।
শ্রীলঙ্কার ইউটার্ন
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে। গৃহযুদ্ধে জয়লাভের পর চীনের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে পরাজিত তামিল সংখ্যালঘুদের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক মীমাংসায় আসার জন্য নয়াদিল্লির চাপ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে। কারণ, চীনা সংস্থাগুলোর সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো চুক্তিগুলো ছিল আকর্ষণীয়, যে তহবিলের একটি বড় অংশ লুটপাট হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সে সময় ভারতীয় সংস্থাগুলোকে দূরে সরিয়ে দিয়ে তাদের প্রভাব কমিয়ে ফেলা হয়। জাপানের মতো অন্যান্য অংশীদারের জন্যও দরজা বন্ধ করে দেয় শ্রীলঙ্কা। এমনকি তাদের চুক্তি এবং সাহায্য প্রকল্পগুলো অপ্রয়োজনীয়ভাবে হস্তান্তর করা হয়েছিল চীনের কাছে।
কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতির আকস্মিক পরিবর্তন সামলাতে না পেরে রাজাপাকসে শাসনের রাজনৈতিক পতন ঘটে। এর মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশটিতে তীব্রভাবে বেড়ে যায় জ্বালানি ও সার আমদানির ব্যয়। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও স্থানীয় মুদ্রার মূল্য হ্রাস এবং আমদানি আরও বেশি ব্যয়বহুল হয়ে বেড়ে যায় মুদ্রাস্ফীতি।
অর্থনীতির ভিত দুর্বল হওয়ার কারণেই শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এ ছাড়া দেশদুটির ভূরাজনৈতিক কৌশলও ব্যর্থ হয়েছে। অনেকের মতে, ইসলামাবাদ ও কলম্বো চীনের ওপর বেশি নির্ভরশীল হওয়ার মতো বড় ঝুঁকি নিলেও, সংকটের সময় তাদের কোনো জরুরি আর্থিক সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বেইজিং।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান উভয়ই সাহায্যের জন্য শ্রীলঙ্কার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। আর পাকিস্তান তার সম্পর্ক নষ্ট করেছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে।
বাংলাদেশের অবস্থান
দারুণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও বাংলাদেশ কাঠামোগত নানা সমস্যা এবং বৈশ্বিক সংকটের প্রভাবমুক্ত নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রফতানি বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাণিজ্য এবং সম্পর্কোন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছে ঢাকা। কিন্তু অন্য অনেক দেশের মতো করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাণিজ্য ঘাটতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, জ্বালানি মূল্যস্ফীতি এবং রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে বাংলাদেশের।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬০ বিলিয়ন থেকে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেলেও, জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ অন্য অনেকের তুলনায় ভালো কাজ করেছে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যও বেড়েছে। দেশদুটির সম্পর্ককে বলা হয় ‘পরীক্ষিত এবং ঐতিহাসিক’। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কাশ্মীর ইস্যুকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে দিল্লির এ সংক্রান্ত নীতি থেকে নিজেকে দূরে রেখেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, পারস্পরিক কৌশলগত ও বন্ধুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সাহায্য ও বাণিজ্য অব্যাহত রাখবে ভারত।
সাহায্যকারী
প্রতিবেশী দেশগুলোর যেসব জায়গায় সংকট-শূন্যতা আছে, তা পূরণে এগিয়ে এসেছে ভারত। শ্রীলঙ্কায় প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জ্বালানি, খাদ্য, সার ও ওষুধ পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। ক্রেডিট লাইনের অধীন এ সহায়তা দেয়া হলেও, এটি এমনভাবে গঠন করা হয়েছে, যাতে শ্রীলঙ্কার এরই মধ্যে তলানিতে থাকা ডলারের রিজার্ভ নতুন করে আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
গেল জুলাইয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অমীমাংসিত সব বিরোধ মিটিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ভারত সফর করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করতে এবং ভারতের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার বিষয়টি বিবেচনা করতে সম্মত হন তিনি।
পাকিস্তানের প্রতি মোদি সরকারের নীতি আদতে অস্পষ্ট হলেও, ভারত থেকে সস্তায় পণ্য আমদানি করতে চায় ইসলামাবাদ। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়েছে। নয়াদিল্লি জুলাই মাসে গম রফতানিতে বিধিনিষেধ চালু করলেও, বেশির ভাগ প্রতিবেশী দেশকে ছাড় দিয়েছিল। এমনকি আফগানিস্তান ও মিয়ানমারেও গম পাঠিয়েছে ভারত।
তবে এসবের অর্থ এই নয় যে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে ভারতের প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ সাধারণ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে, যেখানে প্রথম সারিতে আছে শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। ভারতকে প্রধান বহিরাগত অংশীদার হিসেবে মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে এ দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঐকমত্যের অভাব রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, মালদ্বীপে এবার প্রধান বিরোধী প্রার্থী দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন। এরই মধ্যে তিনি ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানে একটি প্রচারণা শুরু করেছেন।
এর বিপরীতে চীনের ইমেজও রয়েছে সংকটে। জরুরি প্রয়োজনের সময় শ্রীলঙ্কার পাশ থেকে সরে যাওয়ায় এ সংকট আরও তীব্র হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক কম সরকারই এখন বেইজিংকে তাদের নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে দেখে; এমনকি বেইজিংয়ের দীর্ঘদিনের মিত্র পাকিস্তানও। তবে ভারতীয় কূটনীতিকরা মনে করেন, ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমলা, রাজনীতিক এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে নিজেদের প্রভাব ধরে রেখেছে চীন।
দৃশ্যকল্প
দক্ষিণ এশিয়ার ছোট অর্থনীতির দেশগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারতনির্ভর করার জন্য আরও বাস্তব ভিত্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। বিশেষ করে, কানেক্টিভিটি জোরদার করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে দিল্লি। যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত ও চীন এখন সমান তালে চলছে।
ভারতের আশা, তার সব প্রতিবেশী দেশ অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাসহ যেকোনো বড় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির মুখাপেক্ষী হবে। কিন্তু বাস্তবতা এখনও সেখান থেকে অনেক দূরে। যদিও সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে, ভারত শ্রীলঙ্কায় তার প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবে এবং বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে অবস্থান করবে সুসংহত। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন যদি নতুন কোনো চমক না নিয়ে আসে, তাহলে চীনের বর্তমান অবস্থানের কারণে আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের জন্য অন্তত তিন থেকে চার বছর সময় পাবে ভারত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে সার্ক ব্যর্থ হলেও, দক্ষিণ এশিয়ার সাধারণ সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বিকল্প ভাবতেই হবে। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একত্রিত করার সক্ষমতা ভারতের রয়েছে। আর এ জন্য দেশটির নেতৃত্বকে তাদের গণতন্ত্র, রাজনৈতিক অধিকার ও ন্যায়বিচারের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করতে হবে। দুর্বল-সবল সবার সঙ্গে সম্পৃক্ততাই পারে দক্ষিণ এশিয়ার পরাশক্তি হিসেবে ভারতের মর্যাদা বাড়িয়ে তুলতে।
তথ্যসূত্র: দ্য ডিপ্লোম্যাট, ডিপ্লোমেটিস্ট, ওআরএফ, ফরেন পলিসি