Sharing is caring!
আইন আদালত নিউজ ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলার রিভিউ শুনানি পিছিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় মিঞা মো. মহিউদ্দিনসহ ২ আসামির ফাঁসি ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
অধ্যাপক তাহেরের কন্যা সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ এ কথা জানান।
গত ৫ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ রায় প্রদানকারী আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ৬৮ পৃষ্ঠায় দেয়া রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে। আপিল বিভাগ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হতে পারবেন না, এমন আশঙ্কা থেকে খুন করেন মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
শুনানি শেষে পরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।
অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে বেকসুর খালাস দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।
হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করে। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক ড. তাহেরের লাশ। এর দুদিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।