Sharing is caring!
শেখ তিতুমীর পিআইডি ঢাকা: বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশীয়ভাবে কিছু অর্থনৈতিক সংকট চলছে এবং রিজার্ভে কিছুটা চাপ আছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ নেয়া হবে, তবে কঠিন শর্ত মেনে নয়।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ডলার সংকটের কারণে টাকার দরকার আছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে; একটি যৌক্তিক অবস্থা বুঝেই ঋণ নেয়া হবে। তবে ঋণ নিতেই হবে এমন কোনো কথা নেই বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
দেশে সংকট হবে, আমরা চেষ্টা করছি তা সামাল দিতে – এ কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তবে অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। আইএমএফের কোনো শর্ত মানলে যদি দেশের আরও ক্ষতি হয় তাহলে তা কোনোভাবেই মানা হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, এক সঙ্গে এতো সেতুর উদ্বোধন বিশ্বের কোনো দেশে হয়েছে বলে মনে হয় না। আগামী ১২ নভেম্বর আব্দুল্লাহপুর থেকে ইপিজেড পর্যন্ত আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন হবে। আর ২৬ নভেম্বর কর্ণফুলি টানেলের অগ্রগতি ভার্চুয়ালি পর্যবেক্ষণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ডিসেম্বর এমআরটি-৬-এর শুভ উদ্বোধন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কিছুটা কমেছে; আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হবে। অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি, আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি সামাল দিতে।
এ সময় বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ সংকট উত্তরণের টার্গেট তাদের (বিএনপি) না। বিএনপির আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ক্ষমতা। জনমানুষের সমস্যা তাদের ব্যানারে থাকে, সেখানে আর্থিক সংকট নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য থাকে না।
তিনি বলেন, আদালত যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছে সেখানে এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে আপত্তি কোথায়? আমি তো তাদের কোনো দোষ দেখি না। জাতীয় নির্বাচন এ কমিশনের অধীনে হবে। সরকার কমিশনকে সহযোগিতা করবে। বিএনপির ভয়টা কোথায়?
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগান ছিল ‘খেলা হবে’। ভারতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও স্লোগানে খেলা হবে বলেছে। সুতরাং এটি রাজনৈতিক শুধু নয়, এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান বোঝায়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, খেলা হবে বলছি, তারা তো লাঠিসোঁঠা নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এগুলোর মানে হলো আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা। আমাদের খেলা আগুন নিয়ে নয়। তাদের আগুন নিয়ে খেলা আমরা প্রতিহত করবো। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে সরকারের কোনো চাপ নেই। আমি জানি তারা নির্বাচনে আসবে।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নাকাল করে ছেড়েছে বিশ্বের সব দেশের অর্থনীতিকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতিতে ভুগছে প্রায় সব দেশ। বাংলাদেশের প্রবাসীদের আয় এবং তৈরি পোশাক খাত নির্ভর রিজার্ভে প্রভাব ফেলছে প্রয়োজনীয় জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায়। অনেকটা নিরুপায় হয়ে সংকট কাটাতে আইএমএফের ঋণের দিকেই হাত বাড়াতে হয়েছে ঢাকাকে।