Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও মানবিক কারণে সরকার খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছে; কিন্তু বিএনপি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে আবার জেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ। তার ভাই, বোনের জামাই আমাদের কাছে এসেছিল; আমরা মানবিক কারণে তার সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, হুমকি দিয়ে গণআন্দোলন থামানো যাবে না।
তাদের এ হুমকিধামকিতে কাজ হবে না। সরকারের অর্থপাচার, লুটপাট আর দুর্নীতির কারণে দেশে অর্থনৈতিক সংকট। বাড়াবাড়ি করছে আওয়ামী লীগ সরকার। দলীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে বাড়াবাড়ি করছে আওয়ামী লীগ। কোনো দেশে সরকার হরতাল ডাকেনি, কিন্তু এদেশে সরকার ডেকেছে। ভোঁতা যুক্তি দেখাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। যেকোনো ত্যাগের মধ্যদিয়ে দাবি আদায় করবে জনগণ।
বরিশালের সমাবেশের আগে পরিবহন বন্ধ করে সরকার নিজেই হরতাল ডেকেছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো বাধাই কর্মসূচি পণ্ড করতে পারবে না।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ তার সরকারকে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে। সেই সঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের আন্দোলন ভিন্নখাতে নিতে কাজ করছে সরকার। কিন্তু এবার তার সুযোগ নেই। কোনো কিছুতে ভয় পায় না বিএনপির কর্মীরা। ক্ষমতাসীনরা বাড়াবাড়ির কথা বলে গণআন্দোলন ডাইভার্ট করতে চাইছে। এবার সরকারের ফাঁদে পা দিচ্ছে না বিএনপি। লক্ষ্য এখন একটাই, তা থেকে এক পা-ও নড়বে না বিএনপি। সরকার পালাবার পথ পাবে না।’
সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের গাড়িতে হামলার ঘটনার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিচারপতি মানিকের বক্তব্য স্ববিরোধী। যা কেউ দেখেনি, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।