Sharing is caring!
অভিযোগ অনলাইন ডেস্কঃ বন্ধের পর এবার ভোলার অভ্যন্তরীণ রুটে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক সমিতি। মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলার বন্ধের দাবিতে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভোলা বাস মালিক সমিতি। এদিকে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে ভোলা-চরফ্যাশন রুটে বাস চলাচল বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। এছাড়াও ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে দ্বিতীয় দিনের মতো লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিন ভোলার মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ভোলা থেকে চরফ্যাশনের উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে স্ট্যান্ডের সামনে থেকে মাইক্রোবাস ও সিএনজি চলাচল করতে দেখা যায়। ভোলা থেকে চরফ্যাশনের বাস ভাড়া ১২০ থেকে ২০০ টাকা হলেও মাইক্রো ও সিএনজিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেক যাত্রী বাসস্ট্যান্ড থেকে ফিরে গেছেন।
যাত্রী মো. সাহাদ জানান, তিনি জরুরি কাজে পরিবার নিয়ে ভোলা থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন। তবে এখানে এসে দেখেন বাস বন্ধ। এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাসে করে চরফ্যাশন যাচ্ছেন।
যাত্রী আমেনা বেগম জানান, তিনি পাতারহাট থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার জন্য ভোলা বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন। কিন্তু বাস না পেয়ে এখানে আটকা পড়েছেন। মাইক্রো ও সিএনজি ৩০০-৪০০ টাকা ভাড়া চায়। কিন্তু এতো টাকা তার কাছে নেই। তাই নিরুপায় হয়ে বাসস্ট্যান্ডে বসে রয়েছেন।
আরেক যাত্রী আমিনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ঢাকা থেকে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভোলার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে রোগী দেখতে আসেন। এতে করে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শত শত রোগী শুক্রবার চিকিৎসা নিতে ভোলায় আসেন। কিন্তু বাস বন্ধ করে দেওয়ার এসকল রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মালিক সমিতির উচিত ছিল আরো তিন-চার দিন আগেই এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া।
ভোলা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম জানান, উচ্চ আদলতের রায়ে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (তিন চাকার যানবাহন) চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ভোলায় সেটি মানা হচ্ছে না। তারা দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের কাছে এ থ্রি-হুইলার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসলেও সেগুলো এখনো বন্ধ হয়নি। তাই সমন্বয় পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।