Sharing is caring!
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দিয়ে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছে টাইগাররা। আগামীকাল (২৭ অক্টোবর) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াইটা কঠিন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
প্রথম ম্যাচে দলের পেসাররা দারুণ বোলিং করেছে। দশ উইকেটের মধ্যে সাত উইকেট শিকার করেছিল পেসাররা। দ্বিতীয় ম্যাচেও পেসারদের ঘিরে পরিকল্পনা সাজাবে বাংলাদেশ।
এমনটা ধারণা করা হলেও ভিন্ন মত দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রেডিক্টেবল হতে চাই না। আমরা প্রতিপক্ষ, কন্ডিশন দেখে সিদ্ধান্ত নিব। এভাবে আমরা বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছি। ডাইমেশন ভিন্ন, উইন ফ্যাক্টর ভিন্ন, আবহাওয়া ভিন্ন। তা এসব চিন্তা করেই আমরা পরিকল্পনা করছি। আমাদের বিপক্ষে যেন না যায়, সেজন্য নিজেদের খোলামেলা রাখছি। ’
আগের ম্যাচের ফল এবং কন্ডিশন দেখে টসের বিষয়টি মাথায় থাকবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেছেন, ‘টস একটা জিনিস যেটা আমাদের হাতে নেই। আমাদের যদি আগে ব্যাটিং করতে হয়, চেষ্টা করবো ভালো ব্যাটিং করতে। যদি আগে বোলিং করতে হয় সেটাও চেষ্টা ভালো করতে। কারণ আমরা ম্যাচটা খেলতে নামবো জেতার জন্য। আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। যেহেতু ওদের প্রত্যাশা ছিল একটা পয়েন্ট বেশি পাবে প্রথম ম্যাচে, যেটা পায়নি। তো ওদের জন্য অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াই, একটু হলেও চাপ থাকবে। সেখানে আমরা ম্যাচ জিতে এসেছি। (সিডনি) এমন একটা মাঠ যেখানে আমরা হয়তো প্রেফার করবো যেকোনো দলের সঙ্গে খেলার জন্য। অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো উইকেট থেকে সাধারণত এখানে স্পিনারদের জন্য একটু বেশি সুবিধা থাকে। তবে বিশ্বকাপে যেটা হয়, আইসিসি ট্রুউইকেট তৈরির চেষ্টা করে। যেখানে সবার জন্যই একটা ভারসাম্য থাকে। তো ওভাবেই আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। ’
‘আমরা খোলা মনে নামতে চাই যে ব্যাটিং করবো না বোলিং করবো কিংবা টস নিয়ে বেশি চিন্তা করবো। আসলে যেগুলো আমাদের হাতে নাই সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেও পারবো না এবং আমরা নিয়ন্ত্রণ করতেও চাই না। আমরা খোলা মনে যেতে চাই, একটা ভালো মাইন্ডসেট নিয়ে যেতে চাই এবং খেলাটাকে উপভোগ করতে চাই। ’
ওপেনিং জুটি নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যা নতুন কিছু নয়। গত ম্যাচে তবু কিছুটা ভালো হয়েছে ওপেনিং জুটি। ৫.১ ওভার পর্যন্ত ৪৩ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন। কালকের ম্যাচে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণ বিশ্বের অন্যতম সেরা। কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্টজে ও লুঙ্গি এনগিডিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের লড়াই কেমন হবে, কী পরিকল্পনা, এসব নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘অবশ্যই এটা (আগের ম্যাচের উদ্বোধনী জুটি) আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে। আমাদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ না যে কত রান হলো স্কোরবোর্ডে। এর চেয়ে কী এপ্রোচ ছিল ব্যাটসম্যানদের। আমার কাছে যেটা দেখে ভালো লেগেছে যে দুজনই বেশ ইতিবাচক ছিল। এমন না যে আড়ষ্ট হয়ে ব্যাটিং করছে। ওই জিনিসটাই আমরা চাই। প্রথম ম্যাচে সবসময় একটু নার্ভাসনেস কাজ করে, প্রেশার থাকে। এখন ঐ জড়তা থেকে এখন বেরিয়ে আসতে পারা উচিত। অনেক খোলা মনে খেলা উচিত এবং ভালো পারফর্ম করা উচিত। যারাই দলে আছে, সবাই যদি সম্ভাব্য সেরা খেলাটা খেলতে পারে, আমার মনে হয় ভালো কিছু হওয়া সম্ভব। ’
‘দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলারদের সঙ্গে আমরা সম্প্রতি খেলেছি, ওয়ানডে যদিও। আমরা জানি যে ওরা কী আক্রমণ করতে পারে আমাদের। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সফল ছিলাম। তো আমি এর চেয়ে ভিন্ন কিছু আশা করছি না। আমি আশা করবো ঐ পরিকল্পনাগুলোর পাল্টা জবাব দিতে পারবো এবং সবাই ব্যাটসম্যান যারা আছি তারা জানি যে আসলে কী (হতে পারে)। আমরা যদি ওদের পরিকল্পনার পাল্টা জবাব দিতে পারি, তাহলে আমি আশাবাদী যে আমরা এগিয়ে থাকবো।