Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী: সারাদেশে আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। তবে করোনার কারণে এবার রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে তার আগে প্রায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এবার ৩০ হাজার ২৫৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে না। তাদের মধ্যে ছাত্র ১২ হাজার ৫৪৪ জন ছাত্র এবং ছাত্রী ১৭ হাজার ৭১৫ জন। এসব শিক্ষার্থী এইচএসসি প্রথমবর্ষে নিবন্ধন করলেও পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেনি। তারা ঝরে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা সংকট পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমে যায়। যার ফলে এইচএসসিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে গবেষণা দরকার।
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, তাদের অধীনে বিভাগের আট জেলায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বমোট অংশ নেবে ১ লাখ ২৯ হাজার ২৫ শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ৩৬ জন এবং ছাত্রী ৬০ হাজার ৯৮৯ জন। এবার বিজ্ঞান শাখায় ৩৪ হাজার ৬ জন, মানবিকে ৮০ হাজার ৯৬৪ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১৩ হাজার ৩৮৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। বিভাগের আট জেলার মোট ২০১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৭৫২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে এইচএসসি প্রথম বর্ষে নিবন্ধিত মোট শিক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৬৮ জন। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৯০৯ জন।
বাকি ৩০ হাজার ২৫৯ জন ফরমই পূরণ করেনি। এদের মধ্যে ছাত্র ১২ হাজার ৫৪৪ জন এবং ছাত্রী ১৭ হাজার ৭১৫ জন। অর্থাৎ মোট শিক্ষার্থীর ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ ফরমই পুরণ করেনি। তারা ঝরে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এইচএসসি তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ১৩ ডিসেম্বর। ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৫ ডিসেম্বর। ২২ ডিসেম্বর শেষ হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এ বছর এইচএসসিতে সব বিষয়ে পরীক্ষার সময় হবে ২ ঘণ্টা। সকালে পরীক্ষা শুরু হবে বেলা ১১টায়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে দুপুর ১টায়। দুপুরে পরীক্ষা শুরু হবে বেলা ২টায়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষা ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২০ মিনিট। আর সৃজনশীল পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
জানতে চাইলে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম অভিযোগ কে বলেন, প্রতিবারই শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে, এবার হয়তো একটু বেশি কমেছে। এর পেছনে করোনারও প্রভাব আছে। অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কাজের মধ্যে ঢুকে গেছে। আবার ঝরে পড়ার পেছনে বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থাও দায়ী। এ কারণেই একটু বেশি কমেছে। আসলে এ বিষয়ে বোর্ডের কোনো গবেষণার ব্যবস্থা নেই। গবেষণা করলে সঠিক কারণ জানা যেতে পারে।