ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং "সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ"
প্রধান প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
তবে এরই মধ্যে রোববার (২৩ অক্টোবর) রাতে সেন্টমার্টিন থেকে সাড়ে ৩ শতাধিক পর্যটক নিয়ে এমভি কর্ণফুলী জাহাজটি কক্সবাজার এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে স্কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।
তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে সেন্টমার্টিন থেকে সাড়ে ৩ শতাধিক পর্যটককে নিয়ে এমভি কর্ণফুলী জাহাজ কক্সবাজার ঘাটে ফিরেছে। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে জাহাজটি সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রা করেছিল।
হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। এমভি কর্ণফুলী জাহাজ সেন্টমার্টিনে গেছে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সব পর্যটকদের জাহাজে তুলে কক্সবাজারে পথে রওনা দেয়। সন্ধ্যায় জাহাজটি পর্যটকদের নিয়ে নিরাপদে ফিরেছেন। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব না কমা পর্যন্ত কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সাপ্তাহিক অভিযোগ কে বলেন, সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে জাহাজ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। আর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি, আবহাওয়াও গুমোট ছিল। হাল্কা বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের ৬ নম্বর বুলেটিনে বলা হয়, পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ পরিণত হয়ে পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। যার কারণে কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.