২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না; ড. আবদুল মঈন খান

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২২, ২০২২
আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না; ড. আবদুল মঈন খান

Sharing is caring!

অভিযোগ ডেস্ক: খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২) আগস্ট) বিকেলে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের কারণে আরও বেশি সফল হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাকি লোডশেডিং বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন, তাহলে এখন কী হচ্ছে। দেশে সামনের বছর দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন। আপনারা দ্রুত পদত্যাগ করুন। আর না হয় স্বৈরচারী সরকারকে দেশের জনগণ টেনে হিঁচড়ে নামাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, খুলনায় মানুষ প্রমাণ করেছে- এই সরকারকে তারা ভয় পায় না। তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে এই সরকারকে জনগণ আর চায় না। বিএনপি খুলনা বিভাগে যে গণসমাবেশ ডেকেছে তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। কক্সবাজারে যেমন যতদূর দৃষ্টি যায়, পানি দেখা যায়। আজকে যতদূর দৃষ্টি যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ।

তিনি বলেন, সরকার সমাবেশ বন্ধ করতে গিয়ে নিজেই হরতাল ডেকেছে। যেখানে সারাবিশ্বে বিরোধী দল সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে হরতাল ডাকে, সেখানে বাংলাদেশের সরকার নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে হরতাল ডেকেছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আগামী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ। আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে। দিনের ভোট যারা রাতে নেয় তারা আর নির্বাচিত হবে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খুলনার নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে তারা সমবেত হয়েছেন। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ২০০ নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। পথে পথে হামলা হয়েছে। এই হামলা পুলিশ ও শেখ হাসিনার পেটুয়া বাহিনী চালিয়েছে। এই বাহিনী হানাদার বাহিনীর চেয়েও খারাপ। তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র হলো দুর্নীতির চরিত্র। এরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে দেশের সম্পদ বাইরে বেচে দিচ্ছে। এই লুণ্ঠনবাজ, দুর্নীতিবাজ, ভোট ডাকাত, মানুষের অধিকার হরণকারীদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‌কোন নেতা যেন বলেছিলো পদ্মার এপারে নামতে দেবে না। একবার বাসার ছাদে উঠে তাকিয়ে দেখেন। অনেক হয়েছে, এবার থামেন। পদ্মার এপার কি আমরা বেচে দিয়েছি। বেগম জিয়াকে মুক্তি দেন, দেশ নায়ক তারেক জিয়ার মামলা তুলে নেন। সোজা কথা নেতা-কর্মীদের সব মামলা তুলে নেন। আর না হলে বিচারপতি তোমাদের বিচার জনগণ করবে।

তিনি বলেন, প্রস্তুত হন, শিগগিরই বিমান বন্দরে যেতে হবে। কয়েক কোটি মানুষ মিলে বিমান বন্দরে যাব দেশ নায়ককে রিসিভ করতে। সুষ্ঠু ভোট হলে ১০টি আসনও পাবেন না। গুলি করে কর্মীদের হত্যা করেছেন। কী ভেবেছেন, এমনিই ছেড়ে দিব। দাবি একটাই পদত্যাগ করেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখেন, যখন মন্ত্রীরা পালাচ্ছিল, তাদের অবস্থা চিন্তা করে নিজেদের কথা ভাবুন। আজকে আমাদের নেতা-কর্মীরা যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানো হবে।

দলের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বলে, বিএনপি নাকি সমাবেশ করতে পারবে না। কিন্তু জনতার আন্দোলন কোনো বাধা দিয়ে ঠেকানো যায় না। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।

এর আগে দুপুর ২টায় গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পৌনে দুই ঘণ্টা আগে দুপুর সোয়া ১২টায় কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের জনস্রোত দেখা যায়।