৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

নারায়ণগঞ্জ জেলা আ‘লীগের সম্মেলন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ চেীধূরী

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২২, ২০২২
নারায়ণগঞ্জ জেলা আ‘লীগের সম্মেলন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ চেীধূরী

Sharing is caring!

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দীর্ঘদিন পর অক্টোবর মাসে হতে যাচ্ছে নারায়লগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। নারায়ণগঞ্জ জেলা রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য এ জেলার কমিটিতে পদ-পদবি পেতে অনেকেই মুখিয়ে থাকেন।

দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নবগঠিত বাংলাদেশ তাঁতাীলীগ ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নবগঠিত জাতীয় ডিজিটাল সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ(রেজী নং-বি-১৭৭৬) জাতীয় শ্রমিকলীগের অন্তরভূক্ত দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, জাতীয় ডিজিটাল সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রয়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, জামায়াত,বিএনপির নির্যাতনের স্বীকার বার বার কারাগার নির্যাতিত নেতা,কর্মীবান্ধব নেতা, দুঃসময়ের দলের জন্য কান্ডারী নেতা,তৃনমূল থেকে উঠে আসা দলের জন্য নিবেদিত পরিশ্রমী নেতা মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ চেীধূরী। তিনি এবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে চান।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাইন বড়ভিটা বরাব এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবারে সন্তান সাবেক ছাত্র নেতা মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ চেীধূরী। তারা বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দূল হাশেম আলী তিনি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিকের সাথে জড়িত ছিলেন। মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ চেীধূরী নারায়ণগঞ্জ-সোনারগাঁও নেতাকর্মীদের কাছে এক পরিচিত মুখ।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ চেীধূরী বলেন, আমি আপদামস্তক বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক ১৯৮৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে পোস্টার লাগাতে গেলে স্বৈরাচার পেটুয়া আইন শৃংঙ্গলা বাহীনির হামলার স্বীকার হয় এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নিয়ে আমাকে আটকে রাখে হয়। ১৯৮৬ সালে সবুজ বাগ থানার (৫নং ওয়ার্ডের) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ১৯৯০ সবুজবাগ থেকে জগন্নাথ হল নয়াবাজার-রায়সাহেব বাজার এলাকায় স্বৈরাচারী আন্দোলন অংশগ্রহন করে। ১৯৯১-২০০১ সালে পর্যন্ত আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন- আহবায়ক মান্ডা ইউনিয়ন সবুজবাগ থানা দায়িত্ব পালন করে। ১৯৯২ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য দায়িত্ব পালন করে। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য দায়িত্ব পালন করে। ২০০০ সালে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন-আহবায়ক মান্ডা ইউনিয়ণ সবুজবাগ থানা দায়িত্ব পালন কালে বিএনপি নেতাদের হুকুমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভাবে নারী ধর্ষন,খুন ডাকাতি মামলা সাজিয়ে আইন শৃঙ্গলা বাহীনি গ্রেফতার করে সবুজবাগ থানায় নিয়ে যায়। ২০০৪-২০১৩ সাল পর্যন্ত ওয়ারী থানার (৩৯নং ওয়ার্ডের) আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যকারী সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করি। ২০০৪ সালে আওয়ামী বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতি জোটের কার্যকারী সভাপতি ওমর আলী সাহেব ও সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের নেতৃত্বে খালেদা হাটাও আন্দোলন করে। ২০০৬ সালে আক্টোবর খালেদা হাটাও অসযোগ আন্দোলনের সময় কাঁচপুর,সোনারগাঁও অবরোধ করে সক্রিভাবে দায়িত্ব পালন করে। ২০০৬ সালে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সূত্রাপুর থানার সারোয়ার উদ্দিন মিঠু নেতৃত্বে অসযোগ অন্দোলন ও লগি বৈঠার আন্দোলনে অংশগ্রহন করে।২০০৭ সাল খালেদা হাটাও অসযোগ অন্দোলনের সময় পিকেটিং অবস্থায় পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে,সূত্রাপুর থানায় নিয়ে আমাকে নির্যাতন করে, ডাকাতি,চুরি, অগ্নি সংযোগের মিথ্যা মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়,(২৭ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পাই)। ২০০৭ সালে খালেদা হাটাও অন্দোলনে সময় ( মাননীয় মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী) মো. নাসিম মহোদয়ের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় অন্দোলন করতে পুলিশের লাঠিতে আঘাতে আমার মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্নেলনে ননগভঃমেন্ট অফিসার স্পেশাল ব্রঞ্জ বাংলাদেশ পুলিশ হিসেবে ভলেনটিয়ারের দায়িত্ব পালন করে । ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলায় সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলে, অতীতে যেমন দলের জন্য জান প্রাণ দিয়ে মাঠে কাজ করেছি আগামী দিনগুলোতে ও কাজ করবো। দলীয় নেতাকর্মীদের বলতে চাই, আমি দীর্ঘদিন ধরে আপনাদের সঙ্গে কাজ করছি। আপনারা যদি আমার কাজে সন্তুষ্ট হন তাহলে আমাকে মনোনীত করবেন।

উল্লেখ্য যে, ১৯৯৬ সালের নাজমা রহমান সভাপতি এবং একে এম শামীম ওসমান সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। এর পরে ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি করা হয়৷ এতে আকরাম হোসেনকে আহবায়ক এবং যুগ্ন-আহবায়ক মো.মফিজ হোসেনকে নির্বাচিত করা হয়। এর পর থেকে দীর্ঘ বছর পার হলেও নারায়ণগঞ্জ জেলায় আর কোন কমিটি হয় নাই।