Sharing is caring!
নিউজ ডেস্ক (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ): টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচেই হয়ে যাচ্ছে গত আসরের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের। আত্মবিশ্বাসী অজিদের লক্ষ্য জয়ে শিরোপার মিশন শুরু করা। অন্যদিকে গত আসরের ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া নিউজিল্যান্ড। সিডনিতে ম্যাচ শুরু হবে দুপুর ১টায়।
গত বছরের ১৪ নভেম্বর, দুবাইয়ের ঝলমলে রাতের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড কে হতাশায় ডুবিয়ে প্রথম বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া।
কেন উইলিয়ামসনের ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস ম্লান করে দেন মিচেল মার্শ, ডেভিড ওয়র্নাররা। দুবাইয়ের সে ফাইনালের মঞ্চায়ন এবার হয়ে যাচ্ছে সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচেই।
নিজেদের মাটিতে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে শুরুতেই কোন ভুল করতে চায়না অজিরা। ২০২১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই দারুণ ছন্দে আছে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা তাদের শক্তিশালি ব্যাটিং লাইনআপ। এবারের বিশ্বকাপে সবার চোখ থাকবে সিঙ্গাপুর থেকে অস্ট্রেলিয়া দলে আসা টিম ডেভিডের দিকে।
২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের স্ট্রাইকরেট ১৬০। গত আসরের সিরিজ সেরা ডেভিড ওয়ার্নারও দারুণ ছন্দে আছেন। স্বাগতিকদের ব্যাটিং অর্ডারে আরেক শক্তির নাম মার্কস স্টয়নিস। তবে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও স্টিভ স্মিথের ফর্ম ভাবনায় ফেলেছে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
এদিকে বল হাতে অজিদের মূল অস্ত্র টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা জস হ্যাজেলউড। এ ছাড়া ফর্মে আছেন প্যাট কামিনস।
পাওয়ার প্লেতে শেষ ৩২ ইনিংসে ২৩ উইকেট আছে তার। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী অ্যারন ফিঞ্চ।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হানা দিতে পারে বৃষ্টি। এর আগে ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে প্রস্তুতি ম্যাচ টাও খেলা হয়নি নিউজিল্যান্ডের। আসরের আগে নিজেদের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজও হেরে এসেছে ব্লাক ক্যাপসরা। অজিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান হতাশার হলেও তা নিয়ে ভাবতে নারাজ কেন উইলিয়ামমসন।
নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, গত বছর ফাইনালে হারাটা দুর্ভাগ্যজনক ছিল। তবে, ম্যাচটা দুর্দান্ত ছিল। টি-টোয়েন্টিতে ভালো শুরু গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেটাই।
ফাইনালে হারের জবাব মাঠেই দিতে চাই। দুদল এখন পর্যন্ত খেলেছে ১৫টি ম্যাচ। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ১০টি ম্যাচে। নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৫ ম্যাচে।