Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা: এর আগে শনিবার (১৫ অক্টোবর) তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন তিনি। ওইদিন দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুলতানকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে সুলতান প্রথমবারের মতো ঢাকা সফরে আসেন।
সুলতানের সফরসঙ্গী হিসেবে রাজ পরিবারের সদস্য, ব্রুনাইর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা ছিলেন।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। সেখান থেকে একটি সুসজ্জিত মোটর শোভা যাত্রা সহ কারে তাকে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ব্রুনাইর সুলতান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সুলতান সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ এবং (দর্শনার্থী বইয়ে) স্বাক্ষর করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, সাভার থেকে সুলতানকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকায় সফরকালে সুলতান এ হোটেলেই অবস্থান করেন। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ একে আবদুল মোমেন হোটেলের সভাকক্ষে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে ব্রুনাইর সুলতান বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
রাষ্ট্রপ্রধান সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে সুলতানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি যোগদান করেন।
এর পর ১৬ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০টায় সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি সেখানে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা সুলতানকে অভ্যর্থনা জানান।
বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ব্রুনাইয়ের সুলতান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার তেজগাঁও কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক করেন। পরে পিএমওর চামেলি হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গভবনের এ মুখপাত্র জানান, সুলতানের তিন দিনের এ সফর বিশেষ গুরত্বপূর্ণ ছিল; কারণ অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে করোবীতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সুলতানের সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল, বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগ এবং দুদেশের নাবিকদের সনদ দেয়াসহ পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।