Sharing is caring!
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ শাহাদাত হোসেন
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জনবল সংকট বেড়াজালে আছেন কঠিন অবস্থায় বহুদিন ধরে প্রয়োজন এর চার ভাগের এক ভাগ জনবল দিয়ে চলছে এই আবহাওয়া অফিস।
বর্তমানে মাত্র দুইজন সদস্য দিয়ে চলছে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম একজন হচ্ছে উচ্চ পর্যবেক্ষক দ্বিতীয়জন বেলুন মেকার। অন্যদিকে বন-জঙ্গলের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে আছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এই আবহাওয়া অফিস স্থাপিত হয় ২০১৪ সালে। আর প্রথম শ্রেনির আবহাওয়া অফিস ২০১৪ সাল থেকেই। এখানে বাতাসের গতিবে, বৃষ্টিপাত, বায়ুপাত, তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার দিক নির্ণয়ের আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে এগুলো কার্যক্রম হচ্ছে না নির্দিষ্ট জনবল না থাকায়। আশেপাশে চারপাশেই বন জঙ্গল ও সেগুন বাগান রয়েছে। আর এই আবহাওয়া অফিস থেকে বিভাগীয় প্রধান আবহাওয়া কেন্দ্রে তথ্য পাঠানোর কথা তবে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় বিশেষ করে আধুনিক যন্ত্রপাতি গুলো অকেজো হচ্ছে এবং চারপাশে ভূতের বাড়িতে পরিনত হচ্ছে। তবে আবহাওয়া পর্যবেক্ষক অফিস সূত্রে জানা যায়। আবহাওয়া নীতিমালা অনুযায়ী আবহাওয়া পূর্বাভাস সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি দিয়ে ৩৩০ গজ দূরত্বে বাগান বা বৃক্ষ থাকলে সংকেত গ্রহন ও প্রেরণ জটিলতা তৈরি করে। কিন্তু দীঘিনালা পোমাংপাড়ায় অবস্থিত আবহাওয়া অফিসের পাশেই সেগুন বাগান রয়েছে তা কেন্দ্রীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা জরুরি বলে মনে করা যায়। তবে এই বিষয়ে সেগুনবাগানের মালিকের সাথে কনো কার্যকারী আলাপ হয়নি জানা গেছে। গত ৮ অক্টোবর সকাল ১১ টায় সরে জমিনে জাতীয় সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকার খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি গিয়ে দেখা যায় আবহাওয়া অফিসের চারপাশে নিঝুম এক ভূতের বাড়িতে পরিনত হচ্ছে। তবে সরকারি ছুটির দিন থাকায় কাওকে পাওয়া যায়নি আবহাওয়া অফিসে। আমরা তাতক্ষণিক উচ্চ পর্যবেক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান এর সাথে ফোনালাপ করে জানা যায়। তিনি ৪ অক্টোবর থেকে ছুটিতে আছেন তিনি বলেন এই দীঘিনালা আবহাওয়া অফিসে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় তারাও ভোগান্তিতে। এই আবহাওয়া অফিস এ কর্মরত রয়েছেন মাত্র দু জন একজন উচ্চ পর্যবেক্ষক অন্য জন বেলুন মেকার দিয়ে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। তবে তিনি আমাদেরকে জানিয়েছেন এই আবহাওয়া অফিসে চাহিদা রয়েছে ১জন আবহাওয়াবিদ, ১ জন আবহাওয়া সহকারী, ১জন আবহাওয়া ওয়ারলেস সুপারভাইজার, ১ জন পর্যবেক্ষক, ১ জন নিরাপত্তা প্রহরি এবং ১জন পরিচ্ছন্নতার চাহিদা রয়েছে। তবে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রানালয়ের জনবলের চাহিদা প্রেরণ করলেও কনো প্রতিত্তোর পাইনি।