
যমুনায় মা ইলিশধরার দায়ে ১৯ জেলের কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জ: প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অপরাধে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ১৯ জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আফসানা ইয়াসমিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ড দেন।
এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ১৯ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
সাজার আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- এনায়েতপুর থানার চালুহার গ্রামের মো. মোকাদ্দেস (৪০), একই গ্রামের মো. জুয়েল খান (২২), স্থলচর গ্রামের সোলেমান হোসেন (৩০), মো. সবুর উদ্দিন, (১৮), মো. মুসা মোল্লা (২২) ও মো. শাহাদত হোসেন (৫৫), বালিয়াপাড়া গ্রামের মো. পারভেজ সরকার (২২) ও মো. হাসান (১৮), চাঁদপুর গ্রামের মো. হামিদ (৩০), চৌহালী থানার চর বাউশা গ্রামের মো. আওয়াল, একই উপজেলার দত্তকান্দি গ্রামের মো. বাবু (৩৪), একই গ্রামের মো. সবুজ (২২), বিল দাশুরিয়া গ্রামের মো. আবুল হোসেন (৫০), মধ্য শিশুমুলিয়া গ্রামের মো. হাফিজুল ইসলাম (১৮), হাপানিয়া গ্রামের মো. ইয়াকুব (৩৪), বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া গ্রামের মো. আশরাফুল (২২), মো. আলী আকবর (৪০), টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার শাহজাহানী গ্রামের মো. সেলিম (২৫) একই থানার আটাপাড়া গ্রামের মো. মনিরুল ইসলাম (৩৫)।
ইউএনও ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আফসানা ইয়াসমিন জানান, সকাল থেকে যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৎস্য অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগ উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রউফ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ মো. শাহীনূর ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন, বেলকুচি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামীম রেজা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে মা অবৈধভাবে ইলিশ ধরার দায়ে ১৯ জেলেকে আটক এবং ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ১৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। আটক জেলেদের প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস এবং মাছগুলো এতিমখানায় বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।