Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়া জেলার কাহালু, দুপচাঁচিয়া, শিবগঞ্জ ও আদমদিঘী উপজেলার মাঝখান নাগর নদী দিয়ে প্রবাহিত।
আমাদের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাগর নদীকে নিয়ে কবিতা লিখে ছিলেন “আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে” কিন্তু বতর্মানে নদী যে অবস্থা দেখতে মনে হয় এযেন সাগরে পরিনত হয়েছে। কতিপয় কিছু বালু ও ভূমি দস্যুদের কারনে। নাগর নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন শ্যালো মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে শত শত ট্রাক বালূ ও স্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে নদীর পাড় কেটে ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। ফলে নদীর আশে পাশের গ্রামের বাড়ীঘর ও আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভ্যবনা রয়েছে। কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের মদনায় বউ বাজার পয়েন্ট, মদনায় শ্বশান ঘাটি পয়েন্ট, কাশিমালা ইটভাটা পয়েন্ট, জাঙ্গাল পাড়ার সপ্তগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরে জামতলা পয়েন্ট, কালাই ইউনিয়নের উত্তর নাটাইপাড়ার কালিমা পাড়ার পয়েন্ট, পাইকপাড়া পয়েন্ট, শিবতলা শ্বশান ঘাটি পয়েন্ট, কালাই ঘোনপাড়া পয়েন্ট, কালাই খাঁ পাড়া পয়েন্ট, দুপচাঁচিয়া উপজেলার পাঁচতিতা পয়েন্ট, যুগিপোতা পয়েন্ট, শিবগঞ্জ উপজেলার খেওনি পয়েন্ট, ছাতুয়া পয়েন্ট, আদমদিঘী উপজেলার কুন্দগ্রাম পয়েন্ট ও চাপাপুর পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন ভূমি দস্যুরা শত শত ট্রাক মাটি ও বালু বিভিন্ন ইট ভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। নাগরনদীর আশে পাশের গ্রাম গুলো দিনদিন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। আবার কিছু কিছু মাটির ঘর বাড়িতে ফটল ধরেছে। নদীর আশে পাশের আবাদী জমি বছরে বছরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীর তীরবর্তী অনেক বাড়ীঘর হুমকির মূখে পড়ছে। অপর দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার পৌর ভবনের পূর্ব পাশে নাগর নদী দখল করে নদীর মাঝখানে বাড়ি নির্মান করছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসন দু-একটি ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করলেও মূল পয়েন্টের বালু ও ভূমি দুস্যরা থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বালু ও ভূমি দুস্যরা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার জনসাধারণ প্রতিবাদ করেও কোন সমস্যা সমাধান করতে পারছে না তারা। ববং উল্টো ভূমি দুস্যরা তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। অত্র এলাকার জনসাধারণ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে কাহালু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, আমি সহ ইউএনও স্যার মাঝে মধ্যে নাগর নদীতে ভ্রাম্যমান আদালত অব্যাহত রাখছি। কিন্তু তারা যেতে না যেতেই মেশিন সহ তারা আত্নগোপন করে। তিনি আরও জানান, পুনরায় তিনি বিকল্প পদ্ধতিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ সকল ভূমি দস্যুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।