Sharing is caring!
রাত হলেই ভিক্ষুক খুঁজতেন সালমান খান, কিন্তু কেন?
অভিনেতা হিসেবে জাত চিনিয়েছেন অনেক আগেই। বলা যায় ফুল মার্কস পেয়ে উতরে গেছেন। বনে গেছেন বলিউড ভাইজান। তবে মানুষ হিসেবে ভালোর মাপকাঠি তো চলতেই থাকে। কিছু গুণ মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে অনন্তকাল, কতক স্মৃতি মনে করায় যুগের পর যুগ। তিন-তিনটে দশক কাটিয়ে ফেলা সে রকম এক স্মৃতি আওড়ালেন বলিউড অভিনেত্রী আয়েশা ঝুলকা।১৯৯১ সালে সালমান অভিনীত ‘কুরবান’-এর হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী। তিন-তিনটে দশক কাটিয়েও সহকর্মীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। আয়েশা জানিয়েছেন, ছবির সেটে সবার খাওয়া-দাওয়ার পর বাড়তি খাবার সযত্নে প্যাক করতেন সালমান। তারপর রাস্তায় বেরিয়ে কোনো ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে সেই খাবার তুলে দিতেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘সালমানকে আমার খুব ভালো লাগে। কারণ, মানুষ হিসেবে ও অসাধারণ। মনে আছে, শুট শেষ করে আমরা যখন বাড়ি ফিরতাম, ও খাবার প্যাক করত।’
‘রাত হয়ে গেলেও ও ভিক্ষুক খুঁজতে বেরোত। কেউ হয়তো রাস্তায় ঘুমোচ্ছেন, তাকে জাগিয়ে খাবার দিত সালমান। অনেক সময় গাড়ি থেকে নেমে ক্ষুধার্তদের হাতে খাবার তুলে দিত। অভিনেতা হিসেবে তো বটেই, মানুষ হিসেবেও ও খুব ভালো,’ যোগ করেন আয়েশা।
‘খিলাড়ি’, ‘জো জিতা ওহি সিকান্দর’-এর মতো সফল ছবি রয়েছে আয়েশার ঝুলিতে। কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেলেও ধীরে ধীরে বলিউড থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ‘জিনিয়াস’ নামে একটি ছবিতে শেষ দেখা যায় তাকে। চার বছর পর ওয়েব সিরিজের হাত ধরে নতুন অধ্যায় শুরু করছেন আমির-অক্ষয়দের নায়িকা।
অন্যদিকে, ‘টাইগার ৩’-এর কাজ নিয়ে ব্যস্ত সালমান। আগামী বছর এপ্রিলে মুক্তি পাবে টাইগার ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি। সালমানের বিপরীতে দেখা যাবে ক্যাটরিনা কাইফকে। হিন্দির পাশাপাশি তামিল ও তেলুগু ভাষায়ও মুক্তি পাবে ছবিটি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস