Sharing is caring!
মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর অন্যতম প্রভাবশালীসামাজিক সংগঠন “ইশা ব্লাডব্যাংক নোয়াখালী জেলা উত্তর এর উদ্যোগে (১৬ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার বাদ জুম’আর এর পরে চৌমুহনীস্থ জেলা কার্যালয়ে সংগঠনটির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইশাব্লাড ব্যাংক নোয়াখালী জেলা (উত্তর) এর সহকারি পরিচালক ‘মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান’এর সঞ্চালনায় ‘মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন’ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিস্ট বিভাগের ছাত্র মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তরুণ সংগঠক মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, মাঈন উদ্দিন রুহি, জহিরুল ইসলাম, মেহরাব হোসেন সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।সংগঠনটির পক্ষে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মিজানুর রহমান আতিকী, মুহাম্মদ শিব্বির আহমেদ, মনিরুজ্জামান বাবু, পরিচালক মুহাম্মদ সরোয়ার মাহমুদ, সমন্বয়কারী মুহাম্মদ রবিউল আউয়াল সহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল বৃন্দ।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে বলেন ,স্বেচ্ছায় রক্তদান হচ্ছে খেদমতে খলক্বে নিবেদিতদের হৃদয়ে প্রোথিত লাল ভালোবাসা। রক্তদান একটি সাহসী কাজ। আর সাহসী কাজ করতে হয় ইয়াং জেনারেশনকে। যে রক্ত দিতে পারে সে নিঃসন্দেহে ভালো কাজ করে। বর্তমান যুগে যুব-সমাজ বিভিন্ন ভাবে অনৈতিক (ধর্ষণ,মাদকাসক্ত) হয়ে যাচ্ছে। এমন সময় এই ধরনের ক্লাব গঠন যুব সমাজকে মানবতার কাজে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, ইশা ব্লাড ব্যাংক সংগঠনটি নোয়াখালীর উত্তরাঞ্চলের অসংখ্য মানুষের দুঃসময়ের সহযাত্রী হয়েছে। বিনে পয়সায় নির্ঘুম রাত্রি কাটিয়েছে বিপদাপন্নের সেবায়। ঝড়-তুফান উপেক্ষা করে স্বার্থের আশা ছাড়াই নিজ দেহের রক্ত দান করেছে অগণিত মানুষের মাঝে। এই রক্ত মাদক মুক্ত। আমরা দেখি, রক্তের অভাবে অনেক মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য “ইশা ব্লাড ব্যাংক নোয়াখালী জেলা উত্তর” স্বেচ্ছায় সবাইকে রক্তদানে আগ্রহী করে তোলার যে ব্রত নিয়ে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। ভবিষ্যতে সক্রিয় থেকে আরো বেশি যাতে মানুষের উপকার করতে পারে সে লক্ষ্যে সবাইকে রক্তদানে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানায়। তোমরা মানবতার কল্যাণে যে ব্রত নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছো তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
অনুষ্ঠানের সর্বশেষে, মানবসেবায় অবদানের জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদে হাতে এবং সংগঠনটির সর্বোচ্চ ত্যাগীদের হাতে “সম্মাননা স্মারক” প্রধান করা হয়।