জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডে দক্ষিন রাজাখালি বায়তুল আমান জামে মসজিদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে মসজিদের সেক্রেটারি জলিশা শামীমিয়া দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার সর্বজন স্বীকৃত বাটপার নামধারী আলেম মাওলানা আশরাফ আলী সরদার।
মসজিদটি প্রায় ২০ বছরের পুরনো এটি পাঞ্জেগানা মসজিদ ছিলো। গত ৪/৫ বছর আগে এলাকার সবার মতামতের ভিত্তিতে মসজিদটি জামে মসজিদ হয়। মসজিদটি একেবারে নড়বড়ে অবস্থায় পৌছালে কাজ গত রমজানে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কাজ শুরু হয়। যেখান বেকার থেকে শুরু করে ছাত্ররাও তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অংশগ্রহণ করেন। মুসল্লিরা বেশিরভাগের শিক্ষাদিক্ষা না থাকায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তারা মসজিদের সেক্রেটারি ও তার পাশাপাশি আরও কয়েকজনকে দায়িত্ব দেয়। তারাই সকল কাজ দেখাশুনা করেন। কাজ চলাকালীন সময়ে সব মানুষের এমন উচ্ছাস ছিল নজরকাড়া। ছোট ছোট ছেলেরা যারা কখনো কাজ করেনি তারাও মসজিদের জন্য শারীরিক শ্রম দিয়েছেন৷ মসজিদের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকায় খুশির আমেজ বয়ে যায়। মসজিদের অর্থনৈতিক সাপোর্টের জন্য তিনজন বড় এমাউন্ট দেয়ার কথা স্বীকার করেন। এবং এ ছাড়াও আরও অনেকে ভালো এমাউন্ট দান করেন। মালামাল কেনার সময়ও সে বিগ ডোনারদের সাথে ঝামেলা করেন। মসজিদের কাজ খুব সুন্দরভাবে চলছিলো হঠাৎ একদিন মুসল্লিরা দেখল মসজিদের ডিজাইন একটু বেমানান হচ্ছে মানে হলো মসজিদের সিড়ি দক্ষিন দিক দিয়ে দিবে তারা যার ফলে দক্ষিনা বাতাস মসজিদে আসবেনা এবং ওই পাশ টা অন্ধকার হয়ে যাবে এবং মেইন দরজাও তারা দক্ষিন পাশ দিয়ে দিবে যদিও সারা পৃথিবীর মসজিদের মেইন দরজা পূর্ব দিক দিয়ে দেয়া। তাছাড়াও দক্ষিন পাশে সরকারি রাস্তা যেটা অদূর ভবিষ্যতে ১৫ ফুট হবে। যার কারনে দক্ষিন পাশ দিয়ে দরজা দেয়া সরকারি আইন বিরোধীও। সকল মুসল্লিদের দাবি ছিলো এই দুইটা যে মেইন দরজা পূর্ব দিক দিয়ে দেয়া এবং সিড়ি উত্তর দিক দিয়ে দেয়া। কিন্ত তারা তিনজন (মাওলানা আশরাফ এবং তার ভাতিজা মাসুম ও শহীদ) সকল মুসল্লিদের দাবি গ্রহনে অস্বীকৃতি জানায়। কারন হিসেবে দেখায় যে তাদের বাড়ির সামনের পুকুরে ভবিষ্যতে ঘাট করবে এবং সেখান থেকে যেনো তারা সহজে এসে মসজিদে উঠতে পারে সেজন্য তারা সিড়ি এবং মেইন দরজা দক্ষিন পাশে দিবে। তারা নিজেদের স্বার্থের জন্য সকল মুসল্লিদের দাবি অবমূল্যায়ন করেন। এমতাবস্থায় মুস্ললিরা সবাই একমত হলে সেক্রেটারি মাওলানা আশরাফ আলী কাজ বন্ধ করে দেয় এভাবে চলতে থাকে প্রায় ২/৩ মাস। তিনি মুসল্লিদের সাথে ফেইস টু ফেইস কোনোকিছু ক্লিয়ার করেনা এবং মসজিদেও আসেনা। তিনি বারবার ওয়াদা করে মোনাফিকি করেন। ফোন দিয়ে বললেও কোনো কাজ হয়না। ফলে মুসল্লিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে যায়। সমাধান না হওয়ায় সিমেন্ট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যিনি সিমেন্ট দান করেছেন তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে প্রতি জুমার নামাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। কিন্ত যাদের উপর ভরসা রেখে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো তারা সবাই এড়িয়ে চলে। এমতাবস্থায় গত জুমায় তার নিয়োগ করা একজন চামচার সাথে তর্ক করার মত একটি সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় সেক্রেটারি মাওলানা আশরাফ আলী এবং তিনি নিজেই এটা সবাইরে জানিয়ে দেন। এবং মসজিদের মালামাল সে আটকে রাখে। যা একজন অমুসলিমও কখনো সাহস পায়না৷
মুসলমানদের ইবাদতের স্থান মসজিদকে যারা বন্ধ করে দেয় তাদের মত নামধারী মুনাফেক মুসলমানদের বয়কট ও শাস্তি চায় এলাকাবাসি। এলাকার মানুষ অসহায় ও দরিদ্র থাকার কারনে তাকে কিছু বলার সাহস করেনা এবং সে সবাইকে মামলা করার ভয় দেখায়। তাছাড়াও তিনি বহু আগে থেকেই এলাকার বিভিন্ন মানুষকে জ্বালাতন করে আসছে। এখন তারা সোচ্চার হয়েছে প্রিয় দুমকি উপজেলার সম্মানিত লোকদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেতে আমরা এর থেকে সমাধান পাই।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.