২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের ঢলে মুহুর্তেই প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা সেই আসহায় বন্যার্তদের পাশে আমরা শুবজন ।

admin
প্রকাশিত জুলাই ৯, ২০২২
ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের ঢলে মুহুর্তেই প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা সেই আসহায় বন্যার্তদের পাশে আমরা শুবজন ।

Sharing is caring!

বিশেষ প্রতিনিধি :

বন্যায় ভেসে গেছে ঘর-বাড়ী, ভেঙে গেছে রাস্তা ঘাট। নষ্ট হয়েছে ফসল ফলাদি, সর্বস্ব হারিয়েছে মানুষ। ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের ঢলে মুহুর্তেই প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বন্যার পানির স্রোতের তোড়ে তলিয়ে গেছে ঘরের চালা, ভেসে গেছে থালা-বাসন, কাপড়-চোপড়, তৈজসপত্র, গৃহপালিত পশু এমনকি জ্যান্ত মানুষও! বন্যা কবলিত ঐ সমস্ত এলাকা দেখে আসলাম, ওখানকার মানুষের দূর্দশা বর্ণনা করার মতো নয়! এই মুহূর্তে তাদের কাছে কোনো খাবার নেই, বিশুদ্ধ পানি নেই, নেই নগদ অর্থ-কড়ি! রোগে শোকে ক্ষুধায় জর্জরিত মানুষ। এমনও এলাকা আছে যেখানে অদ্যবধি পৌঁছায়নি এক বাটি খাবার কিংবা ত্রাণ! সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে যায়নি কোনো দাতা, গোষ্ঠী কিংবা সরকার। আমরা শুভজন এমনই কিছু মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি যাদের হাতে এই প্রথম কেউ খুঁজে গিয়ে খাবার এবং উপহার পৌঁছে দিলো। কৃতজ্ঞতায় নতজানু এক বৃদ্ধা চোখের জল ফেলে বললো, আল্লাহ তোমাগোরে বাঁচায় রাখুক, জীবনে প্রথম এমনভাবে কেউ ঘরে এসে সাহায্য দিয়ে গেলো! আমাদের যৎ সামান্য সামর্থ্য নিয়েই আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি বন্যা কবলিত অসহায়জনের। শুভজন’র সাথে যুক্ত সবার সাড়া পেলে হয়তো সন্তুষ্ট হওয়ার মতো কিছু করতে পারতাম, তারপরও আমরা প্রায় ছয়শতাধিক অভুক্ত মানুষকে একবেলা পেটপুরে খাওয়াতে পেরেছি, সাথে পানিবাহিত রোগের পথ্য- খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট, এবং কিছু শুকনো খাবার দিয়েছি ইদ উপহার হিসেবে। শুভজন’র যাঁরা সত্যিকারের মানবিক মানুষের পরিচয় দিয়েছেন তাঁদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা। এঁদের মধ্যে যাদের নাম না বললেই নয় তাঁরা হলেন – শুভজন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তরুণ রাসেল, শুভজন ইসরাত মিতু, শুভজন মোকাররম চৌধুরী, শুভজন জেরিন হাফসা, শুভজন তানজিম বিন প্রত্যয় তাজ, শুভজন নাইমুল রাজ্জাক এবং শুভজন আশুগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক নূরুন নেওয়াজ রানা, শুভজন মোঃ রাহিম মিয়া, শুভজন মোঃ তানজিম হুসাইনসহ আরও একঝাঁক মানবিক বন্ধু। শুভজন’র এই মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় আপনাদের প্রতি শুভজন চির কৃতজ্ঞতার ডোঁরে বাধা রইলো…।