Sharing is caring!
বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ঢল
স্টাফ রিপোর্টার খাগড়াছড়ি: পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এবারও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পর্যটকরা ঈদের বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে বেড়াতে ছুটছেন পাহাড়ে। গেল দু’বছর করোনা মহামারি কাটিয়ে এ বছর খাগড়াছড়িতেও বহু পর্যটক আসবেন বলে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
অবশ্য তারা বলছেন, গত বুধবার পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাইরের পর্যটকের চেয়ে স্থানীয় পর্যটকরাই বেশি এসেছেন। আগামী দিনগুলোতে জেলার বাইরের পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে পারে।
হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা জানিয়েছেন, ঈদের দু‘দিন জেলার বাইরের পর্যটকের সংখ্যা কম থাকলেও এখন তা বাড়ছে। একই তথ্য জানালেন খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার মজুমদার। তিনি জানান, আগামী কয়েকদিনে হোটেল-মোটেলে কোথাও খালি নেই।
খাগড়াছড়ির সবকটি পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকের আগমনে পরিপূর্ণ। জেলায় অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্র থাকলেও সবকিছুকে ছাপিয়ে পর্যটকদের অপার আকর্ষণের টানে বদলে যাওয়া আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, আলুটিলার ব্যতিক্রমী ব্রিজ, রহস্যময় গুহা ও রিছাং ঝর্ণা। এসব দেখে প্রাণজুড়ে যায় পর্যটকদের। শহরের অদূরে পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালিত জেলা পরিষদ পার্ক, ঝুলন্ত সেতু, নয়াভিরাম লেক পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।
খাগড়াছড়ি হর্টিকালচার পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থৈ অংগ্য মারমা বলেন, ঈদের মৌসুমে দর্শনার্থীদের সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ। তবে এখন ঘুরতে আসা অধিকাংশ স্থানীয় পর্যটক। আগামী কয়েকদিন বাইরের পর্যটকের উপস্থিতি বাড়বে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার মজুমদার জানান, বিগত দুই বছর ঈদে মানুষ কোথাও যেতে পারেনি। তাই এবার পর্যটকদের উপস্থিতি বেশি। মোটেলের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহখানেক এ চাপ থাকবে। করোনার প্রকোপ স্বাভাবিক হওয়ায় সামনের বন্ধগুলোতে পর্যটকদের উপস্থিতি থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ জাতীয় সাপ্তাহিক অভিযোগ পএিকাকে বলেন খাগড়াছড়িতে প্রচুর পর্যটক সমাগম হয়েছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাতে কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা ঘুরতে পারে সে ব্যাপারে জেলা পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।