
‘জাতীয় লেখক কবি সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা হলেন কবি পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী’
রিপোর্ট পিআইডি ঢাকা বাংলাদেশ: আজ সকাল ১১ ঘটিকার সময় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি শেখ তিতুমীর আকাশ ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কবি লেখক ও সাহিত্য জগতের এক অনন্য নয়নমণি কবি বিউটি দাশ সহ জাতীয় কবি লেখক সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের দুই বাংলার নব নির্বাচিত লেখক কবি সাংস্কৃিতিক জগতের গুনীজন ও সদস্য বৃন্দরা,
একটি ভার্চুয়াল মিটিং-এ প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কবি বিউটি দাশ প্রস্তাব করিলে এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি প্রস্তাবটি গ্রহণ করে, প্রিয় গুণিজন কবি পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী স্যারকে জাতীয় লেখক কবি সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা সাংগঠনিক ভাবে ঘোষণা করেন।
পরে ভার্চুয়াল মিটিং-এ
সংগঠনটির সভাপতি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘দুইবাংলার গুনীজন কবি সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিকবিদ যাঁরা এদেশের জন্য সব সময় তাঁদের জ্ঞানের আলো যুগ যুগ ধরে মানব সমাজে বিস্তৃত করেছেন, দিন দিন সেটা হারিয়ে যাচ্ছে কালের বিবর্তনে, আমাদের (JAPCDF) এই সংগঠনের জন্ম তাঁদের জন্য, দেশের জন্য, জাতির জন্য। মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস, বাংলা ভাষার ইতিহাস নিয়ে আমাদের সবার লিখতে হবে। সেই সাথে আপনারা জানেন, যাদের জ্ঞানের আলোয় আজ আমরা ও আমাদের নতুন প্রজন্ম পাঠ্যবই এর মাধ্যমে বিভিন্ন ইতিহাস জানতে পারি, আজ তাদের জন্য আমরা বাঙালি জাতি কি করতে পেরেছি?
বর্তমান সময়ের আলোকে দেখবেন অনেক কবি সাহ্যিতিক অনেকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন, অনেকের পরিবার করোনা মহামারিতে বিপন্ন জীবন যাপন করেছেন, কিন্তু তাদের দেখার কেউ নেই, দুই বাংলায় দেখা যাবে অনেক কবি সাহিত্যিক সাংস্কিৃতিক সংগঠন রয়েছে, তাদেরও তেমন কোন ভূমিকা নেই, অথচ একজন লেখক তার একটি বই প্রকাশনীতে ছাপাতে গেলে ভাল অর্থই ব্যায় হয় কিন্তু বিনিময়ে তারা কি পান, সেটাও কি কেউ ভেবে দেখেছেন?
একজন ভাল মানের লেখক এর মর্যাদা আমরা কতটুকু দিতে পেরেছি? তাদের জন্য আমরা কি করতে পেরেছি? আমরা কয়জনের পরিবারের খবর নিতে পেরেছি? সব ভাবনাগুলোর অবসান ঘটাতে দুই বাংলার অসংখ্য কবি সাহিত্যিক গুনীজনদের নিয়ে আমাদের নতুন পথ চলা জাতীয় লেখক কবি সাংস্কিৃতিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের। আসুন সবাই হাতে হাত রেখে আমাদের দেশ ও জাতি প্রিয় বাঙালি জাতির জন্য, কবি সাহিত্যিদের জন্য কিছু করি।
আমি আশা করি, আমাদের নব নির্বাচিত স্যার প্রিয় গুনীজন সাহিত্য জগতের এক অনন্য দিক নির্দেশক কবি পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী স্যার আমাদের পাশে থেকে জাতীয় লেখক কবি সাংস্কিৃতিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের হাল ধরবেন।
আমরা তাঁর জন্য সুমঙ্গল কামনা করি-
কবি পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী মহোদয়’র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি—
নব্বই দশকের শেষের দিকে লেখালেখি শুরু কিংবা বই প্রকাশ হলেও শূন্য দশকের তরুণ কবিদের অন্যতম পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী। শৈশবেই তাঁর লেখার জগতে হাতেখড়ি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উদয়বাণী’ প্রকাশিত হয়। গভীর জীবনবোধ, দেশপ্রেম, সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, মানবতা, দর্শন, দ্রোহ, ভালোবাসা, প্রেম, বিরহসহ বিভিন্ন বিষয় তাঁর কবিতাকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। কবিতায় সিদ্ধহস্ত হলেও শিশুতোষ ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, বই আলোচক, অণুকাব্য, সমকালীন ছড়ার জগতেও তিনি সমান পারদর্শী।
পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ পৌরসভার শিবপাশা আ/এলাকায় ০৮ নভেম্বর ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শাস্ত্রীয় পণ্ডিত শ্রীযুক্ত প্রণয়ভূষণ চক্রবর্ত্তী মিন্টু (ব্যাকরণ শাস্ত্রী, স্মৃতিভূষণ, ক্রিয়াতীর্থ) ও শ্রীযুক্তা সুপ্রীতি চক্রবর্ত্তীর তিন সন্তানের মধ্যে প্রথম। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তিনি বি.এসসি অনার্স, এম.এসসি (প্রাণিবিদ্যা) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পন্ন করেছেন এবং বর্তমানে নবীগঞ্জ পৌরসভা হবিগঞ্জে করশাখায় কর্মরত।
এ পর্যন্ত তাঁর ১১টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থগুলো হল: ‘উদয়বাণী’ (কবিতা, ১৯৯৭), ‘নোনাজলের বৃষ্টি ‘(কবিতা, ২০১৩), ‘বৃষ্টি পড়ে তিথির বাড়ি'(শিশু-কিশোর ছড়া, ২০১৩), ‘দুর্গম পথের যাত্রী’ (কবিতা, ২০১৬) ও ‘পড়শি আসে ভাষার মাসে'(শিশুকিশোর ছড়া-কবিতা, ২০১৭), ‘ছন্দ ঝরে বন্ধ ঘরে'(বড়দের ছড়ার বই/২০১৮) ‘বিষটি ঝরে তিমা পড়ে'(শিশুতোষ ছড়ার বই/২০১৮), ‘রোজার শেষে ঈদের মজা'(শিশুতোষ ছড়ার বই/২০১৮) ‘ঋতুর সাজে বাংলা মা যে ‘(শিশুতোষ ছড়ার বই/২০১৯, ‘এসএমএস কাব্য’ (অণুকাব্য গ্রন্থ /২০২০), ‘স্বাধীনতা এসেছিলো শেখ মুজিবের হাতে’ (শিশুকিশোর ছড়া-কবিতা/২০২১)
তিনি সম্পাদনায় ‘বাসন্তী সাহিত্য পুরস্কার-২০০২’, বাংলাদেশ পয়েটস ক্লাব ও বাংলাদেশ পল্লীসাহিত্য গবেষণা পরিষদ কর্তৃক কবিতায় ‘জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন সম্মাননা-২০১৪’, আমীর প্রকাশন ও এডুকেশন কালচারাল লিটারেচার রিসার্চ ডেভেলপম্যান্ট কর্তৃক ছড়া সাহিত্যে ‘আমীর প্রকাশন সাহিত্য পুরস্কার-২০১৪’, সাপ্তাহিক বর্ণমালা কর্তৃক ছড়া সাহিত্যে ‘বাংলার বর্ণমালা পদক-২০১৪’, সংসপ্তক ও আমরা কুঁড়ি কর্তৃক ‘ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার-২০১৪’ কবিসংসদ বাংলাদেশ কর্তৃক ‘শ্রেষ্ঠ সংগঠক’ হিসেবে ‘জাতীয় কবি সম্মেলন সম্মাননা-২০১৫’ ও ছড়াসাহিত্যে ‘পল্লীকবি জসীম উদ্দিন পুরস্কার /২০১৮’ লাভ করেন। ‘নোনাজলের বৃষ্টি ‘ কাব্যের জন্য কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ, ঢাকা কর্তৃক ‘সাহিত্য পদক-২০১৫’ লাভ করায় তাঁকে জাতীয় কবিতা পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখা কর্তৃক সংবর্ধনাও প্রদান করা হয়।
তিনি দুর্বার, বাংলাভাষা, সূর্যোদয়, প্রজ্বলন, জয়ন্তী, চন্দ্রঘন্টা, চিত্রা, শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু সহ বেশকটি সাহিত্য ম্যাগাজিন ও পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। সংগঠক হিসেবেও রয়েছে তাঁর যথেষ্ট সুনাম। তিনি বর্তমানে কবিসংসদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সিলেট বিভাগীয় সহসভাপতি, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ), জাতীয় কবিতা পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি, রূপসী বাংলা পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ব কবিমঞ্চ সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।