২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

তলপেটে ব্যথা মেয়েদের একটি পরিচিত সমস্যা, আসুন সাধারণ ভাবে এর থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে নেই। 

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ২৯, ২০২১
তলপেটে ব্যথা মেয়েদের একটি পরিচিত সমস্যা, আসুন সাধারণ ভাবে এর থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে নেই। 

Sharing is caring!

তলপেটে ব্যথা মেয়েদের একটি পরিচিত সমস্যা, আসুন সাধারণ ভাবে এর থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে নেই।

স্বাস্থ্য সেবা :- তল পেটে ব্যথা মেয়েদের একটি পরিচিত সমস্যা।তবে এটা যে সব সময়ই মেয়েদের সমস্যা, তা নয়। কেননা জরায়ু, ডিম্বাশয় ছাড়াও এখানে আছে মূত্রথলি, বৃহদন্ত্রের কিছু অংশ, অ্যাপেনডিক্স। তলপেটের ব্যথা কখনো কখনো মামুলি ব্যাপার, আবার কখনো গুরুতর। তাই জেনে নিন তলপেটের ব্যথা কেন হয় এবং কী করবেন:
* মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক, ১০ জনে ১ জন নারীর এটা তীব্র হতে পারে। জরায়ুতে টিউমার, ফাইব্রয়েড বা এন্ডোমেট্রোসিস থাকলে ব্যথা হবে। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার সময় কারও কারও ব্যথা অনুভূত হয়।

* মেয়েদের প্রস্রাবে সংক্রমণ খুবই হয়। আর এতে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। পাশাপাশি প্রস্রাবে জ্বালা, প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব থাকতে পারে।

* জরায়ু ও আশপাশে সংক্রমণ হলে তাকে পেলভিক ইনফ্লামাটরি ডিজিজ বলে। এতে তলপেটে ব্যথা, জ্বর,¯ প্রস্রাব নির্গত হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। অনেক সময় এ সংক্রমণ দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।

* অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথা প্রথমে শুরু হয় নাভির চার দিকে, তারপর তা স্থায়ী হয় তলপেটের ডান দিকে। সঙ্গে বমিও হতে পারে।

* অনেক সময় ভ্রূণ জরায়ুতে স্থাপিত না হয়ে ডিম্বনালিতে স্থাপিত হয় এবং ডিম্বনালি ফেটে যায়। এটি একটি জরুরি অবস্থা। পেটে প্রচণ্ড ব্যথার পাশাপাশি পুরো তলপেটে রক্তক্ষরণের কারণে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। কোনো কারণে ডিম্বাশয়ে রক্তপাত হলে বা সিস্ট বেঁকে গেলেও ব্যথা হয়।

এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, আইবিএস, মূত্রথলিতে পাথর ইত্যাদি নানা কারণে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।

কী করবেন: মেয়েদের তলপেটে তীব্র ব্যথাকে অবহেলা করা উচিত নয়। ব্যথার তীব্রতা ও স্থায়িত্ব বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হঠাৎ তীব্র ব্যথা হলে শেষ মাসিকের তারিখের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন। ডিম্বনালিতে ভ্রূণ বা গর্ভপাতের ব্যথা কি না, সচেতন হোন। প্রচুর পানি পান করবেন। প্রস্রাব আটকে রাখবেন না। রাতে ঘুমানোর আগে প্রস্রাব করে মূত্রথলি খালি করবেন। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা জরুরি।

প্রার্থমিক ভাবে এর থেকে মুক্তির উপায় আসুন জেনে নেই:-

১. আদা 
পেটের ব্যথা কমাতে আদা ব্যবহার করতে পারেন। আদার মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথা কমায়।

* পেট ব্যথা কমাতে আদা চা পান করতে পারেন। আদা চা বানাতে, এক কাপ গরম পানির মধ্যে কয়েক টুকরো আদা দিয়ে ফুটান। এর মধ্যে সামান্য মধু দিন। এরপর এটিকে পান করুন। এ ছাড়া আদা কুচিও চিবাতে পারেন।

২. হলুদ 
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। এটি প্রদাহ কমাতে কাজ করে; পরিপাক ভালো করতে সাহায্য করে।

• এক গ্লাস বা দুই গ্লাস পানির মধ্যে হলুদ দিয়ে গরম করুন। দিনে দুইবার এটি পান করুন।

• এ ছাড়া ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন সাপ্লিমেন্ট দিনে তিনবার খেতে পারেন। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৩. গরম পানির সেঁক 
দ্রুত পেটের ব্যথা কমাতে গরম পানির সেঁক খুব কার্যকর। এটি পেটের ব্যথা কমাতে ও পেশি শিথিল করতে কাজ করে।

• একটি হট ব্যাগে গরম পানি ভরে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট রাখুন। প্রয়োজনে পুনরায় পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন।

• এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। এটিও ব্যথা কমাতে কাজ করবে। তবে গরম পানি সেঁক নেওয়ার সময় একটু সতর্ক থাকুন। না হলে পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।