Sharing is caring!
আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ-
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে গতকাল বিকেলে টাইগার পাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ঘোষণা দেন।
নগরীতে অনেকগুলো নির্মাণাধীন ভবন রয়েছে যেখানে পানি জমে থাকে এবং সেখানে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভা সৃষ্টি হচ্ছে। একইভাবে যারা ছাদবাগান করেন তাদেরকেও দীর্ঘদিন পানি জমিয়ে রাখতে হয়। এছাড়া বাসা-বাড়ির কার্নিশ, রিজার্ভার, ফুলের টবেও জমে থাকে পানি। সেগুলোও ডেঙ্গুর বিস্তারে ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে সচেতন করার পরও যারা পরিষ্কার করছেন না তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মেয়র বলেন,আজকেই আমি আমাদের দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটকে সিদ্ধান্ত দিয়েছি। কাল থেকে (আজ) তারা বের হবেন। কোন কিছু তাদের চোখে পড়লে অবশ্য জরিমানা করবে। আইনে যেভাবে আছে সেভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামাল হোসেন, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আকতার চৌধুরী।
সভায় বক্তারা ডেঙ্গুতে আতংকিত না হওয়ার জন্য নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানান। ডেঙ্গুর জীবানুবাহী এডিস মশা যাতে বংশ বিস্তার না করতে পারে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। সভায় সিটি মেয়র দাবি করেন- চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর বিস্তার তেমন হয় নি। এখানে যেসব ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আসা। তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, চট্টগ্রামেও এডিস মশা আছে। ৫০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগীই চট্টগ্রাম থেকে সৃষ্টি’।
সভায় মেয়র বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিনই ১৬ থেকে ১৭ শ’ ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ২৬৩ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। এদের সিংহভাগ হল যারা ঢাকা থেকে জীবাণু বহন করে এসেছেন। বাকিরা শহর ও উপজেলার। আল্লাহর কাছে শোকরিয়া, চট্টগ্রামে এখনো ডেঙ্গুর বিস্তার বেশি হয় নি। ঈদুল আজহার ছুটিতে ঢাকা থেকে আসা লোকজনের কারণে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকার কথা বলা হচ্ছে। সেটা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনা করবো।
মেয়র বলেন, জনগণকে সচেতন করে স্থানীয় দৈনিকে একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। যাতে জনগণ আতংকিত না হয়ে সচেতন হয়। লিফলেট বিতরণ করছি, মাইকিং করছি এবং আমাদের জেনারেল হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করছি। আমাদের ৪১ ওয়ার্ডে যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে সেগুলোতেও বিনা ফিতে চিকিৎসা দিচ্ছি। এডিস মশার যাতে বিস্তার না ঘটে সেজন্য দুই ধরনের ওষুধ ছিটনোর কার্যক্রম চলমান আছে। যতদিন পর্যন্ত ডেঙ্গু আতংক থেকে মুক্ত না হচ্ছি ততদিন এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এসময় মেয়র বলেন, আমরা আরো কিছু ফগার মেশিন এবং ওষুধ সংগ্রহ করছি।