Sharing is caring!
আরও বাস্তবমুখী হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা
নাসরিন আক্তার রুপা ঢাকাঃ কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য ও প্রান্তিক মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করে খাদ্য নিরাপত্তা আরও বাস্তবমুখী ও শক্তিশালী করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে উন্নয়ন সংগঠন সুশীলনের ৩০ বছর পূর্তির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাকে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা প্রচার করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের মাধ্যমে তাদের উন্নয়ন অংশীদার করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অবদান যুক্ত হবে এবং সে উন্নয়ন টেকসই হবে।
তিনি বলেন, দেশে লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এটা সুবর্ণ সুযোগ। এ জাতের ধানের চাষাবাদ সম্পর্কে স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অনাবাদী জমিতে লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের আবাদে প্রসার ঘটিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করার আহ্বান জানান তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, উন্নয়ন সংগঠন সুশীলন নারী ও যুব নেতৃত্বের বিকাশ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, সুপেয় পানি সরবরাহ, বনায়ন এবং স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ আয়োজন করে থাকে—যা প্রশংসার দাবি রাখে। এ সময় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করতে সুশীলন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অশুভ শক্তি মাঝে মাঝে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভিশন ২০৪১ ও ডেল্টা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চল ও চরাঞ্চলসমূহের জন্য পৃথক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় ও চরাঞ্চলের মানুষকে উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সুশীলনের কার্যনির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান আ জ ম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র নাথ শম্ভু, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, মো. আকতারুজ্জামান বাবু, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তারিকুল ইসলাম এবং সুশীলনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোস্তাফা নুরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। পরে মন্ত্রী সুশীলনের ৩০ বছর পূর্তির মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করেন।