১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

২৭টি মামলার আসামী চাঁদাবাজ, নারী ধর্ষক, শিশু অপহরণকারী শফিক হলেন অরুয়াইল ইউনিয়নের নৌকার মাঝি

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২৬, ২০২১
২৭টি মামলার আসামী চাঁদাবাজ, নারী ধর্ষক, শিশু অপহরণকারী শফিক হলেন অরুয়াইল ইউনিয়নের নৌকার মাঝি

Sharing is caring!

২৭টি মামলার আসামী চাঁদাবাজ, নারী ধর্ষক, শিশু অপহরণকারী শফিক হলেন অরুয়াইল ইউনিয়নের নৌকার মাঝি

স্টাফ রিপোর্টার সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :- ২৭টি মামলার আসামী চাঁদাবাজ, নারী ধর্ষক, শিশু অপহরণকারী শফিক হলেন অরুয়াইল ইউনিয়নের নৌকার মাঝি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের চাঁদাবাজ, নারী ধর্ষক, কালোবাজারী, চুর ডাকাতের গড ফাদার, ভূমিদূস্য, নারী পাচারকারী, শিশু অপহরণকারী, মাদক সম্রাট এল.এম.জি. শফিক হলেন অরুয়াইল ইউনিয়নের নৌকার মাঝি । সমাজ তথা রাষ্ট্র বিরোধী প্রত্যেক কাজে তার হস্তক্ষেপ রয়েছে। সে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বাংলাদেশ বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে দলের সুনাম নষ্ট করেতেছে। বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জরিত থাকা শফিক কিভাবে মনোনয়ন পেলো তা নিয়ে নানা মহলে গুনজন শুনা যায়। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন- চাঁদাবাজ শফিক তার ক্যাডারবাহিনী দিয়ে ধামাউড়ার জনাব সাঈদ সাহেবের বাড়ি জোর পূর্বক দখল করে বসবাস করছে এবং অরুয়াইল বাজারে সুব্রত মল্লিকের দোকান দখল করে নিজে শু-রোম দিয়ে ব্যবসা করছে। তাছাড়া আমাদের এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সজল রায়ের কাছে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ৩০০০০০/=তিন লক্ষ টাকা নিয়ে যান। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে স্থানীয় জনগন বলেন শুধু তাই নয় এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের ফতেহপুর গ্রামের জুলহাসকে অরুয়াইল বাজার থেকে তুলে নিয়ে প্লাস দিয়ে টেনে টেনে দাঁত তুলে ফেলছে চাঁদাবাজ শফিকের ক্যাডারবাহিনী। এবং শফিক তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ধামাউড়া গ্রামের তালুকদার সাহেবের বাড়ি সহ কয়েকশত বাড়িতে লুট করে ভাঙচুর কর। আরও বলেন- আমাদের সরাইলের প্রাণপুরুষ বর্তমান সাংসদ শিউলী আজাদের স্বামী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ইকবাল আজাদের হত্যার মূল হুতা এই কুলাঙ্গার শফিক। তার ত্রাসের রাজনীতি তে আমরা অরুয়াইল তথা সরাইল বাসী জিম্মির মুখে বসবাস করতেছি। তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে ঘর থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাই নয়তু গুম করে ফেলে। তার বিরুদ্ধে সরাইল থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় ২৭টি মামলা থাকার সত্ত্বেও সে কিভাবে নৌকা মার্কার মনোনয়ন পেলো আমাদের বুঝে আসে না।

মামলার বিস্তারিত বিবরণ ও নাম্বার
১| সি.জে.এম. ৮৯৩/১৫
২| সি.জে.এম. ১৩০/১৬
৩| জি. আর. ৪১/১২
৪| জি.আর. ৩৭/১৬
৫| জি.আর. ৩২/১৩
৬| সি.জে.এম ৮১৭/১৫
৭| সি.জে.এম. ১৩৪৭/১৫
৮| দায়রা ৮৪১/১৭
৯| সি. আর. ৪৭৯/১০
সরাইল থানায় মামলার নং
১০| নং-৩৬,
১১| নং-০২,
১২| নং- ৯৯,
১৩| নং-২৬
১৪| নং-৩২,
১৫| নং-৩৭,
১৬| নং- ১৭,
১৭| এফ আই আর নং ৩৫/২০১৮
১৮| নাছিরনগর থানার এফ আই আর নং-২০
১৯| শিশু অপহরণকারী মামলা।
সহ আরও অনেক মামলার প্রধান আসামী এল.এম. জি শফিক।
পরিশেষে স্থানীয় জনগণ বলেন- এই পত্রিকার মাধ্যমে সরকার প্রধান দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা কাছে আমাদের জোর দাবী এই রকম চাঁদাবাজ, নারী ধর্ষক, ভূমিদস্যু শফিক এর দলীয় মনোনয়ন বাতিল করে যেন সঠিক লোকদের মূল্যয়ন করা হয়। সে দেশ ও জাতির কলঙ্ক। একজন মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী লোক কে যেন অরুয়াইল ইউনিয়নের নৌকা মার্কার মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী করেন আমাদের অরুয়াইলের তৃণমূল ও সাধারণ জনগণের প্রাণের দাবী।