যেসব চ্যানেল দেশের আইন না মেনে প্রদর্শন করছে, তাদের জন্য আন্দোলনের কথা বলা অযৌক্তিক বলে মনে করছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
কোয়াব সোমবারের (৪ অক্টোবর) পর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের আন্দোলনের কথা বলা অযৌক্তিক। যেসব চ্যানেল দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করছে, সংস্কৃতিকে চোখ রাঙাচ্ছে, সেগুলোর পক্ষে ওকালতি করা দেশের স্বার্থ ও আইনবিরোধী। আমি আশা করবো দেশের স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত হবেন না। সরকার কোনো চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না। সরকার দেশের স্বার্থ ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে, আইন বাস্তবায়ন করার জন্য বদ্ধপরিকর।
ক্যাবল অপারেটরের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা যদি আলোচনা করতে চায় আলোচনা হতেই পারে। তারা আমাদের সহযোগী, আলোচনা হতেই পারে। তবে আলোচনার ভিত্তি হবে আইন মানা, দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ। আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে ক্যাবল অপারেটররা বললেও এটি জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার মতো একটি বক্তব্য। তারা কি চ্যানেলগুলো দেখা না যাওয়ার পর চার্জ কমিয়ে দিয়েছে? এক টাকাও তো কমেনি। বিদেশি চ্যানেল দেখানোর জন্য এজেন্টেদের যে ফি দিতো সেটা এখন দিতে হবে না, টাকা সাশ্রয় হবে।
তিনি আরও বলেন, বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, ফ্রান্স টিভি, রাশান টিভি, ইউরো টিভি, এনিমেল প্ল্যানেটসহ ১৭ টিভি বাংলাদেশে ক্লিনফিডে আসে। সেগুলো সবাই বন্ধ করেনি। আকাশ ডিটিএইচসহ কেউ কেউ ওসব চ্যানেল চালু রেখেছে। প্রথম দিকে তারা কিছু অসুবিধার কথা বলেছিল। আমি আশা করবো সেটি দু-একদিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। কেউ যদি শর্ত ভঙ্গ করে শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হবে।
ড. হাছান বলেন, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে, দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করে, দেশীয় মিডিয়ার স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আজ আমরা যখন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি দেশের সমস্ত মিডিয়া এটিকে অভিনন্দন জানিয়েছে, মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা তারা অভিনন্দন জানিয়েছে, শিল্পীরা অভিনন্দন জানিয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি দেশের স্বার্থে, দেশের জনগণের স্বার্থে, দেশের মিডিয়ার ইন্ডাস্ট্রি, সাংবাদিক ও মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলীদের স্বার্থে। দেশের আইনকে যারা বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্ট স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কথা বলে তারা তো দেশের পক্ষে কথা বলে না।
তিনি জানান, বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচারে নিয়ম না মানায় সরকার কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এই বিনিয়োগ বঞ্চিত হওয়ার কারণে মিডিয়া থেকে অনেকে ছাঁটাই হচ্ছেন। যখন এই বিনিয়োগটা দেশি মিডিয়ার হবে তখন মিডিয়া থেকে ছাঁটাই হওয়াটা বন্ধ হয়ে যাবে বা সেই অজুহাতে ছাঁটাই করা যাবে না। এভাবে পুরো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। মোবাইল কোর্টের অভিযান চলমান থাকবে। সচিব ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে সভা করবেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ। প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯ ইমেইল: abhijug@gmail.com
Copyright © 2025 Weekly Abhijug. All rights reserved.