
প্রকৃতিকন্যা হিসেবে সারাদেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। সীমান্তের ওপারে ইন্ডিয়ান পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরামধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেলপানি,উঁচু পাহাড়ে গহিন অরণ্য ও শুনশান নীরবতার কারণে এলাকাটি পর্যটকদের দারুণভাবে মোহাবিষ্ট করে। এসব দৃশ্যপট দেখতে প্রতিদিনই দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। প্রকৃতিকন্যা ছাড়াও জাফলং বিউটিস্পট, পিকনিকস্পট, সৌন্দর্যের রানি- এসব নামেও পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিত। ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে জাফলং-এর আকর্ষণই যেন আলাদা।
করোনার কারণে দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকার পর গত মাসের (১৯ আগস্ট) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের পর্যটনকেন্দ্র। টানা কয়েক মাস বন্ধের কারণে ক্ষতির মুখে পড়া পর্যটন শিল্পকে আলোর মুখ দেখাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাফলং বিজিবি পয়েন্টে, সিলেট জেলা ও উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক জাফলং পর্যটন কেন্দ্র এলাকার উন্নয়ন ও দর্শনার্থীদের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগত দর্শনার্থীদের প্রবেশ ফি ১০ (দশ) টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ সময় প্রবেশ পথের সামনে টিকিট বিক্রয় কর্মীদের পর্যটকদের সাথে বিনয়ের সাথে আচার-আচরণ,সহ সার্বিক বিষয় ব্রিফ করেন ট্যুরিস্ট পুলিশের জাফলং সাব জোনের ইনচার্জ মো. রতন শেখ।
এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের জাফলং সাব জোনের ইনচার্জ মো. রতন শেখ বলেন, সিলেট অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ জাফলংয়ে বেড়াতে যায়। প্রতিদিন দুই থেকে ৫ হাজার ৭ মানুষের সেখানে সমাগম হয়। ছুটির দিনগুলোতে এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে লক্ষাধিকের কাছে চলে যায়। বেড়াতে যাওয়া লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনটি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনটি পর্বে ভাড়া নিয়ে একধরনের নৈরাজ্য ছিল। সেটি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে । এরপরও কোনো পর্যটক অভিযোগ করলে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিন মাস এই কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে দেখার পর পুরো জাফলংকে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ১০ টাকা ফি দিয়ে প্রাথমিকভাবে পর্যটকদের ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এরপর টিকিট দেখালে ফটোগ্রাফার, ট্যুর গাইড ও নৌকার মাঝি সহজে পাওয়া যাবে।
প্রয়োজনে : ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং সাব-জোন মোবাইল নাম্বার ০১৩২০১৫৮৩৫০