২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিহিংসা আর অবহেলার শিকার হচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
প্রতিহিংসা আর অবহেলার শিকার হচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো

Sharing is caring!

প্রতিহিংসা আর অবহেলার শিকার হচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সংগঠন বি এস কে এস এর প্রতিবেদন,নেত্রকোনা থেকে :-বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যাহা বর্তমানে দৃষ্টি নন্দিবার মতো। এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উপাসনার প্রধান ক্ষেত্র মসজিদ।

সম্প্রতি কালে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা যেমন, শহর অঞ্চল থেকে শুরু করে মফস্বল এরিয়া পর্যন্ত অসংখ্য পুরাতন মসজিদ রয়েছে। তার পরেও নতুন করে বর্তমান সরকারের তত্ত্বাবধায়নে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল মসজিদগুলো যেন ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের শামিল। যাহা বর্তমান সরকারের জন্য প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ।

কিন্তু ইসলাম শান্তির ধর্ম সত্যেও মুসলমানের প্রধান ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদগুলো নিয়েই,শুরু হচ্ছে ব্যক্তিগত হিংসা প্রতিহিংসা। যার কারণে শতবর্ষ থেকে শুরু করে,বর্তমান পর্যন্ত স্থাপিত মসজিদগুলো শিকার হচ্ছে চরম আবহেলার। যদিও মুসলমানদের নিয়ম-নীতির ধারপ্রান্তে নেই মসজিদ নিয়ে এসব প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড।

বর্তমান শহরাঞ্চলের কথা বাদ দিলেও মফস্বল এলাকার কথা চিন্তা করলে দেখা যাচ্ছে , নতুন পুরাতন মিলিয়ে হাজার হাজার মসজিদ। ধর্মে অসংখ্য মসজিদের কথা উল্লেখ থাকলেও মসজিদের হেফাজত করার কথাও ধর্মে বিদ্যমান।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সংগঠন বি এস কে এস এর প্রতিবেদনে বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে তথ্য কালে দেখা যায়,একটি মসজিদ থেকে আরেকটি মসজিদের দূরত্ব আনুমানিক ১০০-২০০ গজ মাত্র।

যেসব এলাকায় এসব মসজিদ তৈরি হয়েছে। যেখানে সবগুলো মসজিদ মিলিয়ে যতগুলো মুসল্লী ধারণ ক্ষমতা রাখে,সেখানে মাত্র একটি মসজিদেই তার চাইতে বেশি মুসল্লী ধারণক্ষমতা রাখে।

এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় মুসল্লিদের জিজ্ঞেস করলে জানা যায়,বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত হিংসার প্রতিহিংসার কারণে এতগুলো মসজিদ তৈরি হয়েছে। তাহার মাঝে মসজিদ কমিটির কিছু কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতি আছে বলেও উল্লেখ করেন সে সব ব্যক্তিগণ।

স্থানীয় ব্যক্তিদের তথ্যমতে, পাশাপাশি এসব মসজিদগুলোতে একই সময়ে আযান দেওয়া নিয়েও তর্কের কোন শেষ নেই। একই এলাকায় নির্মিত এতগুলো মসজিদ সিজেনলী ধর্মীয় সভার আয়োজন নিয়েও শুরু হয়,বিভিন্ন বাকবিতণ্ডের। এ বাড়ির লোকজন ওবাড়ির মসজিদে ধান, চাল,চাঁদা কালেকশন দেবেনা। এমন হিংসা-প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতা যেন সহজ সরল মানুষের ঈমানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

পুরাতন প্রায় ৩০/৪০ বছর আগে নির্মিত মসজিদ গুলো যত্নসহকারে পুনঃ নির্মাণ করলে ধর্মীয় উপাসনার জন্য যেখানে যথেষ্ট,সেখানে প্রতিহিংসামূলক ভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অর্থের দম্ভে পাশাপাশি তৈরী মসজিদগুলো যেন সরকারি বেসরকারি খাতের অনুদানের মাধ্যমে দ্রুত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

কেউ কেউ বাঁশের খুটি গেড়ে, সামান্য একটি টিনের চালা দিয়ে কায়েসের মসজিদ গড়ার জন্য, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারী অনুদানের অপেক্ষায়।

এদিকে সাবেক পুরাতন মসজিদ গুলো প্রায় জনশূন্যহীন অবহেলার মরীচিকায় খসে খসে পড়ছে। এগুলো দেখার কেউ নেই। অর্থের দম্ভে আর দাপটে ব্যক্তিদের প্রতিহিংসার বিভক্ততার কারণে টিকে থাকতে কষ্ট হচ্ছে ধর্মপ্রিয় মুসলমানদের। মসজিদের মুয়াজ্জিম ও ইমামের হাদিয়া দিতেও হিমসিম খাচ্ছে তারা।

জনমনে প্রশ্ন? (যাহা নিম্নে একটি স্থানের বিষয় তুলে ধরা হলো)। ৪০ বৎসর আগে নির্মিত পুরাতন মসজিদটি কি ক্ষতি করে ছিল। এই সব প্রতি হিংসা মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়। মসজিদের উপরে এর প্রভাব পড়বে কেন? ৪০বছর আগের নির্মিত মসজিদ অবহেলাই ভেঙ্গে খসে খসে পড়তেছে। কিন্তু পাশাপাশি নব নির্মিত মসজিদ দাপটের সহিত এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে পুরাতন এই মসজিদগুলোর হাল ধরবে কে?

তাই তাদের সর্বশেষ দাবি বর্তমান জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী ও ধর্ম মন্ত্রীর কাছে। যেন প্রতিহিংসামূলক ভাবে তৈরি হওয়া এক মসজিদের পাশে আর এক মসজিদের বিষয়টি ধর্মীয় আইন ও রাষ্ট্রীয় আইনের তথ্যবধায়ন এর মাধ্যমে স্বীকৃতি দান করা।

এবং পুরাতন মসজিদগুলোকে অগ্রাধিকার স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে পুনঃনির্মাণের সহযোগিতা প্রদান করা।

উল্লেখিত বিষয়গুলো প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সহ ধর্মমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি ও ধর্মীয় আইন এবং রাষ্ট্রীয় আইনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে, প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারে এসব অবহেলিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনটাই ধারণা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সংগঠন বি এস কে এস এর প্রতিবেদকের।