২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, ৭’জনের বিরুদ্ধে মামলা: অতঃপর গ্রেফতার- ১

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, ৭’জনের বিরুদ্ধে মামলা: অতঃপর গ্রেফতার- ১

Sharing is caring!

চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, ৭’জনের বিরুদ্ধে মামলা: অতঃপর গ্রেফতার- ১

রাজিব হোসেন সুজন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলারর চরআন্ডায় চাঁদা না দেয়ায় হোসেন খাঁন (২৬), নামের এক ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুট ও নগত টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, আহত হোসেন খাঁন চরআন্ডা গ্রামের মৃত খালেক খাঁনের ছেলে। ঘটনাটি (২৭- সেপ্টেম্বর-২০২১ ইং) তারিখ আনুমানিক সকাল ৮’টার সময় চরআন্ডা গ্রামের সাগরপাড় বাজার এলাকায় ঘটে।

এঘটনায় আহত হোসেন খাঁনের ভাবি পারভীন আক্তার বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা একটি দায়ের করেন, যাহার মামলা নং-২৩/২১ ইং, ধারা-৩৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ দন্ডবিধি অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।এবং কাইয়ূম সিকদার (২৭) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলা সুত্রে, আসামিরা হলো, (১).কামাল সিকদার, (৪২), (২).জাহিদ সিকদার, (৩৪), (৩).আকবর সিকদার, (৩৫), উভয়ের পিতাঃ হাতেম সিকদার, (৪).কাইয়ূম সিকদার (২৭), পিতাঃ ইসমাইল সিকদার, (৫).হাছিবুল সিকদার, (২৪), পিতাঃ আনোয়ার সিকদার, (৬).সাব্বির সিকদার, পিতাঃ কামাল সিকদার, (৭).হাতেম সিকদার (৬৫).

আহত হোসেন খাঁনের বড় ভাই কাওছার খাঁন বলেন, হামলাকারীরা এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদককারবারী সহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত রয়েছে সাধারন মানুষ তাদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ এরা জলদস্যু তাই জেলেরা ভয়ে মুখ খুলতে পারে না মাছ ধরতে নদীতে যেতে হয় তাই সবাই চাঁদা দেয়।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাই হোসেন খাঁনের নিকট ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামিরা উক্ত দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিতে পারায় কামাল সিকদার এর নেতৃত্বে আসামিরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে, রামদা, বগি দাও, ছেনা দেশীয় অস্ত্র সজ্জায় সজ্জিত হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ৯-ফ্লু- জাল দাম ৯ লক্ষ টাকা, ৩০ টি গ্রাফি যার মুল্য ৯০ হাজার টাকা ও নগত ১ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যাহা মামলায় উল্লেখিত রয়েছে।

এসময় হোসেন খাঁন বাঁধা দিতে গেলে তার হাত পা বেঁধে ইট দিয়ে মারধর করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে বগি দাও দিয়ে গলা কেটে ফেলার চেষ্টায় কোপ দেয় হোসেন সরে গেলে উক্ত কোপ মাথায় লাগে হারকাটা গুরুত্বর জখম হয়। তার ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে সকলের সম্মুখে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় কামাল বাহিনী।

পরে আহত গুরুতর আহত অবস্থায় হোসেন খাঁন কে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্পিডবোট যোগে দ্রুত পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা-বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষনিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন এবং তাকে ভর্তি দিয়েছেন। তার মাথায় ৯ টি সেলাই লেগেছে এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের বি-১৮ নং বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছে তার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানান তার ভাই কাওছার খাঁন।

এনিয়ে বাদী পারভীন আক্তার প্রতিবেদককে জানান, হামলার ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করায় আসামিরা আমাদের পরিবারের সকলকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমরা আইনের কাছে সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।

এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারভীন আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শনে গিয়ে কাইয়ূম সিকদার নামের একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদেরও শীগ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।