তিনি বলেন, এদেশ সোমালিয়া কিংবা ইথিওপিয়া নয় যে নির্বাচন করার জন্য জাতিসংঘের সহায়তা লাগবে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ‘বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকসহ ফোরামের অন্যান্য নেতারা।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার চাইলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতিসংঘ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
নির্বাচন এখনও বহু দেরি অথচ এখনই এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের এখনও অনেক সময় বাকি। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত শক্তিশালী। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কারো সহযোগিতা দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ ইতোপূর্বে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনেক নির্বাচন করেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ সোমালিয়া কিংবা ইথিওপিয়া নয় যে এখানে নির্বাচন করার জন্য জাতিসংঘের সহায়তা লাগবে।
তিনি বলেন, কিন্তু সেখানে কেউ যদি পর্যবেক্ষণ কিংবা পর্যবেক্ষকের বিষয়...সেটি ভিন্ন বিষয়। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তা লাগবে বিষয়টি অবশ্যই তা নয়।
বিটিআরসি আইপি টিভি বন্ধ করছে। কিন্তু ইউটিউবভিত্তিক নিউজ চ্যানেলের বিষয়ে সরকার কী উদ্যোগ নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আইপি টিভির রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু তারা ডোমেইন বরাদ্দ পায় বিটিআরসির কাছ থেকে। ডোমেইন বরাদ্দ তারা কীভাবে পেল- সেটি হচ্ছে প্রশ্ন। আমি মনে করি কাউকে ডোমেইন বরাদ্দ দেওয়ার আগে এখন থেকে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো, ডোমেইন বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা তদন্ত করছি, এ বিষয়ে আদালতেরও একটি নির্দেশনা আছে। সুতরাং এ সবের আলোকে আমরা অনলাইন ও আইপিটিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি, এটি অব্যাহত থাকবে।
সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব করার বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন, সরকার যে কারো ব্যাংক হিসাব তলব করতে পারে। এমপিদের ব্যাংক হিসাব তলব হয়, সরকারি কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাব তলব হয়, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদেরও ব্যাংক হিসাব ইতোপূর্বে তলব হয়েছে। ব্যাংক হিসাব চাওয়াটা দোষের নয়।
সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব চেয়েছে, সেটি কেন পত্রিকায় এলো, সেটি তো পত্রিকায় আসার কথা ছিল না, এটি কেন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলো- এটি হচ্ছে প্রশ্ন। আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে, যেটি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে- সংগঠনের নাম দিয়ে কেন ব্যাংক হিসাব চাওয়া হলো। আমি মনে করি, কেউ স্বচ্ছ থাকলে কারো উদ্বিগ্ন হাওয়ার কোনো কারণ নেই।
ব্যাংক হিসাব চাওয়ার পর এটি যখন প্রকাশিত হবে। যখন এর স্বচ্ছতা বেরিয়ে আসবে। তখন তো তারা যে অত্যন্ত স্বচ্ছ সেটি মানুষের সামনে আসবে। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। তবে এটি কেন সংগঠনের নাম দিয়ে চাওয়া হলো এবং কেন এটি কাগজে এলো সেই প্রশ্ন অনেকে রেখেছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ। প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯ ইমেইল: abhijug@gmail.com
Copyright © 2025 Weekly Abhijug. All rights reserved.