আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রাসেল দম্পতিকে র্যাবের সাদা প্রাইভেট কারে করে গুলশান থানায় নেওয়া হয়।
এদিকে, স্ত্রীসহ রাসেলকে গ্রেপ্তারের বিষয় নিয়ে আজ দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে। সংবাদ সম্মেলেনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনলাইনে পণ্য সরবরাহকারী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল পদাধিকারবলে নিজেরা মাসিক পাঁচ লাখ টাকা করে বেতন নিতেন। তারা কম্পানির অর্থে ব্যক্তিগত দুটি দামি গাড়ি (রেঞ্জ রোভার ও অডি) ব্যবহার করেন।
তিনি বলেন, ইভ্যালির বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি গেটওয়েতে ৩০-৩৫ কোটি গ্রাহকের টাকা আটক হয়ে আছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, রাসেল ২০০৭ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন। ২০১১ সালে ব্যাংকিং সেক্টরে চাকরি শুরু করেন। প্রায় ছয় বছর চাকরির পর ২০১৭ সালে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে প্রায় এক বছর শিশুদের ব্যবহার্য একটি আইটেম নিয়ে ব্যবসা করেন এবং পরে তিনি ওই ব্যবসা বিক্রি করে দেন। ২০১৮ সালে আগের ব্যবসালব্ধ অর্থ দিয়ে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। কম্পানিটির তিনি একাধারে এমডি ও সিইও এবং তাঁর স্ত্রী চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেল দম্পতিকে। গ্রেপ্তারের পর র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয় তাঁদেরকে।
গতকাল বিকেলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাপ্তাহিক অভিযোগ কে বলেন বিকেল ৪টার দিকে স্যার সৈয়দ রোডের একটি ৯ তলা ভবনের চতুর্থ তলায় রাসেলের ফ্ল্যাটে তাঁদের অভিযান শুরু হয়। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে রাসেল ও তাঁর স্ত্রীকে বাসা থেকে বের করে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে তাঁদের।
বেশ কিছুদিন ধরে ইভ্যালির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা চলেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশও করেছে গ্রাহকরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাতে রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা করেন আরিফ বাকের নামের একজন। এরপর গতকাল বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.