Sharing is caring!
বন্ধু-শব্দটা খুবই ছোট, কিন্তু এই সম্পর্কটা হচ্ছে জীবনের তৃষ্ণায় এক আজলা শীতল জলের মতো। চাঁদের মতোও বলা যায় বন্ধুদের। চাঁদনী রাতে যেখানেই যাবেন, সঙ্গে যাবে চাঁদ। যতদূরেই হোক, দূর আকাশ থেকে জানান দেবে ‘আমি আছি’। আজ বিশ্ব বন্ধু দিবস। প্রতি বছরের আগস্ট মাসের প্রথম রোববার পালিত হয় দিবসটি।
বন্ধু হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিন বা সময়ের প্রয়োজন হয় না। এমনকি বয়সের সীমাও নেই। সমবয়সীরাও যেমন বন্ধু হতে পারে, তেমনি বয়সে ছোট-বড়রাও বন্ধু হতে পারে। মনের মিল হলেই বন্ধু হওয়া যায়। জানা যায়, বন্ধু দিবসের পরিকল্পনা ও উৎপত্তি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে ১৯৩৫ সালে সর্বপ্রথম আগস্ট মাসের প্রথম রোববার ‘বন্ধু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়েছিল। তবে এ নিয়ে অনেক দ্বিমত পোষন করেন।
দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে আপনার বন্ধুকে খুব দামী কিছু উপহার দিতে হবে এমনও নয়। বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা আর আন্তরিকতা দেখাতে পারাটাই মূখ্য। তাজা কিছু রঙিন ফুল নিয়ে বন্ধুর সাথে দেখা করলেও দিনটা বেশ আনন্দের হয়ে উঠতে পারে। ছোট্ট একটা ফ্রেন্ডশিপ বেল্ট সেই আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে পারে আরো।
বন্ধুত্ব মানুষকে ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে, বিষণ্ণতা কমিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ ও সুন্দর রাখে। এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। ব্রিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক হল্ট-লানস্টেড বন্ধুত্বের সঙ্গে দীর্ঘজীবনের সম্পর্ক বিষয়ক এক গবেষণায় দেখিয়েছেন বন্ধুহীন ব্যক্তিরা অনেক বেশি মোটা হয়ে যাওয়া, একাকীত্বে ভোগার মতো সমস্যা ভোগেন। এতে করে তাদের আয়ু কমে যায় বলে দাবি তার।