Sharing is caring!
কোভিড ১৯ কে মোকাবেলা করেই নব উদ্যমে ঘুরেদাঁড়িয়ে নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমার সোনার বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হল স্কুলের প্রাঙ্গণ
স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া অতি মারী কোভিড ১৯ কে মোকাবেলা করেই সকল দুরাশা কাটিয়ে নব উদ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে আঠারো মাস পরে খোলে দেওয়া হলো স্কুল কলেজ । শ্রেনীকক্ষের শিক্ষার বাইরে থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের, জীবনে যে ছন্দপতন তাকে দূর করে নতুনদিনের স্বপ্ন নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাই ছাত্র-ছাত্রীরা । তারা বলেন – করোনা মহামারিতে সমগ্র বিশ্ব ধ্বংসের তান্ডবে স্থবির হয়ে যখন গোটা দেশে বিস্তার হয় তখন আমার হারিয়েছে আমাদের সহপাঠী, আত্মীয় স্বজন প্রিয় মুখ হারিয়েছি বাংলাদেশের অনেক গুণীজন দের । ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি মাধ্যমিক স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বাবা বলছেন আঠারো মাস ধরে স্কুলে যেতে পারছেনা তার ছেলে । ফলে এই শিক্ষাবর্ষের অনেক কিছুর সাথে পরিচিত না হওয়া পিছিয়ে পড়ছে আমার সন্তান । মেধা বিকাশে ধরেছে জং এবং তাকে পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়া হচ্ছে । এই অভিভাবক আরো বলেন শিক্ষকের সার্বিক যত্ন ও তত্ত্বাবধানে আটারো মাস না থাকায় একযোগে পড়ার মাধ্যমে যে শিক্ষণ প্রক্রিয়া কমে যাওয়াই কিংবা সেটি না থাকায় এ বছরে বাচ্চাদের যা যা শেখা উচিত তার অনেকখানিই হয়নি বলে মনে করছেন এই অভিভাবক। অন্য দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কুহিনূর হায়দার বলেন কোভিড-১৯ এর মহামারীর কারণে গত বছরের ১৭ই মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ ১২ই সেপ্টেম্বর সরকার কতৃক ঘোষিত নির্দেশাবলী মেনে পুনরায় চালু করা হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এযেন যুদ্ধ জয় করার মতো অনুভূতি ।শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে আনন্দ যেন উপচে পড়ছে ।তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে ।উৎসবমুখর পরিবেশে অত্যন্ত প্রাণচঞ্চলতার সাথে শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যালয়ে পুনরায় ফিরে এসেছে । আমরা শিক্ষকরাও আমাদের চিরচেনা কর্মমুখর পরিবেশে ফিরতে পেরে আনন্দিত । পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থণা আগামী দিনগুলো যেন আমরা সবাই সকল বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে
শিক্ষা ক্ষেত্রে যে ঘাটতি হয়েছে তা পরিপূর্ন করতে পারি ।