অভিযুক্ত কিশোর মদন পৌর সভার জাহাঙ্গীরপুরের বাসিন্দা। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ভুক্তভোগী ওই শিশুকে চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন মদন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সুমনা ইয়াসমিন।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে মদন আদর্শ কারিগরি বাণিজ্য কলেজের সামনে কয়েকজন শিশু খেলা করে। এ সময় কিশোর ওই শিশুকে কলেজের পেছনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার বিচার চাইতে গেলে ওই শিশুর পিতাকে মারপিট করে অভিযুক্ত কিশোরের পরিবারের লোকজন।
শিশুটির মা বলেন, ‘আমার ছোট মেয়েটাকে পাশের বাড়ির এক কিশোর ধর্ষণ করেছে। আমি এর বিচার চাই।’ শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমার শিশু কন্যাকে মাদরাসার পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করছে। বিচার নিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে গেলে কয়েকজন আমাকে মারপিট করে। আমি থানায় মামলা করব।’
অভিযুক্ত কিশোর ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা মাদরাসার পেছনে খেলা করতে গিয়েছিলাম। পরে আমরা জামাই বউ খেলা খেলেছি।’ কিশোরের মা বলেন, ‘আমার ছেলে খারাপ কাজ করেছে মেয়েটির মা এমন বিচার নিয়ে আসলে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এরপরে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তারা আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।’
মদন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সুমনা ইয়াসমিন বলেন, ‘শিশুটিকে পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়া কিছু বলা যাবে না।’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের অভিযোগ শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’