১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

চট্রগ্রাম সন্দ্বীপ আজিমপুর ইউনিয়নে কিশোর গং এর নেতৃত্ব দাতা ও ইয়াবা ব্যাবসায়ী ( জলদস্যু মাকসুদের) এর ভয়ে জিম্মি এলাকাবাসী

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
চট্রগ্রাম সন্দ্বীপ আজিমপুর ইউনিয়নে কিশোর গং এর নেতৃত্ব দাতা ও ইয়াবা ব্যাবসায়ী ( জলদস্যু মাকসুদের) এর ভয়ে জিম্মি এলাকাবাসী

Sharing is caring!

চট্রগ্রাম সন্দ্বীপ আজিমপুর ইউনিয়নে কিশোর গং এর নেতৃত্ব দাতা ও ইয়াবা ব্যাবসায়ী ( জলদস্যু মাকসুদের) এর ভয়ে জিম্মি এলাকাবাসী। কি তার পরিচয়? খুটির জোর কোথায়?

নিউজ ডেস্ক চট্রগ্রাম : চট্রগ্রাম সন্দ্বীপ আজিমপুর ইউনিয়নে কিশোর
গং নেতৃত্বদাতা ও ইয়াবা ব্যাবসায়ী জনপদের
এক আতংকিত সন্ত্রাসীর নাম “মাকসুদ”
ওরফে ( জলদস্যু মকসুদ )।

দুই, তিন, বছর আগে থেকে জামাত, বি,এন,পির সন্ত্রাসীদের সাথে বিভিন্ন ছোটখাটো চুরি, চিন্তায় ও ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল এই মাকসুদ ।

পরে ধীরে ধীরেই বেড়ে উঠেছে তার অনৈতিক কর্মকান্ডের সহযোগী বেশ কয়েকজন। কিছু দিন পরে এলাকায় নামধারী রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে চলে গিয়ে সখ্যতা গড়ে তোলে প্রভাবশালী নেতাদের সাথে, হয়ে উঠে শীর্ষ সন্ত্রাসী, কিশোর গং এর লিডার ও মাদক ব্যাবসায়ী ।

জানা গেছে, সন্দ্বীপ উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়ন সহ সন্দ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলে চাঁদাবাজি, ডাকাতি,দস্যুতা, ইয়াবা ব্যবসা, নারী ধর্ষন, মার্ডার সহ হাজারো অপরাধের মুল হোতা এই “জলদস্যু মাকসুদ। তার এই অনৈতিক কর্মকান্ডের খবর দেশের বিভিন্ন মিডিয়াতে ও আসে। সন্দ্বীপ উপজেলা প্রসাশনের নিরব ভূমিকা পালনে দিনের পর দিন তার অপরাধের মাত্রা বেড়ে চলছে।

প্রসাশন সূত্রে জানা গেছে, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে পুলিশের একটি টিম তাহাকে ঘিরে ফেলে অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। সে মামলায় প্রায় দেড় বছর জেল খেটে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর পূর্বের ন্যায় বেপরোয়া হয়ে অন্ধকার জগতের গডফাদারদের সাথে জড়িয়ে, অস্ত্র ব্যাবসা, ইয়াবা ব্যবসা, নারী ধর্ষণ, খুন ও ডাকাতি মত অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করার মতো প্রশাসনের টনক নড়ছে না। প্রশাসন নির্বিকার? প্রভাবশালীদের আশ্রয়, প্রশ্রয় ও টাকার জোরে আইনের প্রতি কোন তোয়াক্কা না করে সুকৌশলে নানা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে কিশোর গং এর নেতৃত্বদাতা ( জলদস্যু মাকসুদ ) । এই সন্ত্রাসী রাতের আধারে অস্ত্র দেখিয়ে বহু মানুষের কাছে থেকে নিয়ে গেছে অনেক টাকা- পয়সা, স্বর্ণ- অলংকার, মোবাইল ফোন সহ নানা দামী জিনিস পত্র । তার অত্যাচারে ঐ এলাকার কয়েকটি পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে প্রতিনিয়ত মেরে ফেলা হুমকি দিয়ে আসে বলে জানা যায়।

গত তিন বছর ধরে বেপরোয়া এই মাকসুদ। ছিনতাইকারী থেকে সে ধীরে ধীরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। করোনাকালীন সময়ে এই সময়ে ও তাকে নিয়ে রীতিমতো অস্থির হয়ে পড়েছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা আজিমপুর ইউনিয়ন এর সাধারণ জনগণ। যাকে তাকে অস্ত্র নিয়ে তাড়া, নিকটজনকে হুমকি, প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও অসামাজিক কাজ চালাতো নির্বিঘ্নে। তার অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল এলাকার স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাদের । তারা নিয়মিতই তার কাছ থেকে টাকা নিতো এবং নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ দিতো। ফলে এলাকার অনেকেই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতেন না।

কিছু দিন আগে ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত ও ইয়াবা ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় আজিমপুর ইউনিয়ন ৭ নং ওর্য়াড এর যুবলীগ কর্মী বেলাল এর উপর হত্যার উদ্দেশ্যো অস্ত্র, সস্ত্র নিয়ে তার পালিত কিশোর গংদের কে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর আহত করে দেয়। আহত বেলাল বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় একটি মামলা ও করেন
বেপরোয়া তালিকাভূক্ত এ সন্ত্রাসী বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগীরা ও এলাকার সাধারণ জনগণ।