২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের নামে যে সাংবাদিক নির্যাতন হচ্ছে তা দৃষ্টান্ত বন্ধ করতে হবে

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের নামে যে সাংবাদিক নির্যাতন হচ্ছে তা দৃষ্টান্ত বন্ধ করতে হবে

Sharing is caring!

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের নামে যে সাংবাদিক নির্যাতন হচ্ছে তা দৃষ্টান্ত বন্ধ করতে হবে।

প্রতিবেদক শেখ তিতুমীর : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক জারি রয়েছে। সাংবাদিক, লেখক, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, শিক্ষাবিদ সহ সমাজের নানা স্তরের মানুষ এই আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে সোচ্চার। রাজনীতিকরাও মনে করেন, এই আইনের মাধ্যমে কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে।

এ বিষয় আজ বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সংগঠন, বিএসকে এস, কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভায় রামপুরা অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রতিষ্টাতা সভাপতি শেখ তিতুমীর এক সংক্ষিপ্ত বক্তবে বলেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার সাথে সরকারে তথ্য ও প্রযুক্তি ধারাও এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা থেকে সংবাদ মাধম্য দেশ ও জাতির সেবা করে আসচ্ছে, আজ বিএনপি বলেন আওয়ামীলীগ বলেন, যত বড় বড় নেতা মন্ত্রী, এমপি বলেন, সবারি মনে করতে হবে আপনাকে আপনার এতো বড় রাজনৈতিক অবস্থানে পৌছে দিয়েছে এদেশের সাংবাদিক মহল, কাজেই বাঙ্গাল স্বাধীনতা পেয়েছে কিন্তু সাংবাদিকতার স্বাধীনতা আজো পায় নাই ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলেন শুধু এতো টুকু বলে শেষ হয় না,সারা দেশে রাজনৈতিক ভাবে, প্রশাসনিক ভাবে, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসীদের হাতে ও নির্যাতিত হতে হয় সাংবাদিকদের।

সরকারের উচিৎ এসব কার্যাদী থেকে সংবাদ মাধ্যম কে আইনি সহায়তা দিতে হবে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে। হুলুদ সাংবাদিকদের চিন্হিত করে, যারা মানবতার পক্ষের সাংবাদিক তাদের কে প্রাধান্য দিতে হবে।

মাঝে মাঝে টিভিতে দেখি বিভিন্ন মিটিং এ আমাদের মাননীয় তথ্য ও প্রচার মন্ত্রী বলেন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোর ব্যবস্থা নিবে সরকার, অনলাইন আইপি টিভি ব্যবস্থা নিবেন সরকার, সাংবাদিকতা করতে গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতার মান দিবে সরকার, অনেক ভালো লাগে কিন্তু বাস্তবতা কিন্তু আজো মিলে নাই।

সরকারের দেখা উচিৎ এসব আইপি টিভি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোর কারণে এদেশে প্রকৃত সাংবাদিকতা করেন যারা তাদের কোন মান নেই ,সরকারের এগুলো দেখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল জগতে বাংলাদেশের সবাইকে সুরক্ষিত রাখতেই এই আইন। সাংবাদিকরা বলছেন, এই আইন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিককালে এই আইনের অপপ্রয়োগ বেড়েছে। গ্রেপ্তার হচ্ছেন সাংবাদিক, অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ পর্যন্ত।

ডিজিটাল আইন করা হয়েছে ডিজিটাল অপরাধ দমনের জন্য। সে আইনে সাংবাদিক বলে কোনো কথা নেই কিন্তু এর অপব্যবহার করা হচ্ছে অনেক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। আমি মনে করি, সাংবাদিকরাও আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু আইন প্রয়োগের নামে যে সাংবাদিক নির্যাতন হচ্ছে তা দৃষ্টান্ত তা বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল আইনের অপব্যবহারটা বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা হতে পারে- তবে গ্রেপ্তার করা যাবে না, সমন দিতে হবে। কোনো সাংবাদিক যদি মিথ্যা তথ্য দেয় অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। কিন্তু আজকে ডিজিটাল আইন সবচেয়ে বেশি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হওয়ায় আইনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আইনটি অবশ্যই সংশোধন হতে হবে।

আমাদের জোড়ালো দাবি হওয়া উচিৎ স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় এই আইনটির সংস্কার নয় বাতিল করা।​
শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমরা সবসময় বলে আসছি ডিজিটাল নিরাপত্তা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা তো নিশ্চিত করেই না বরং এই আইন সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা মুক্তভাবে যারা চিন্তা করেন, কথা বলেন তাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসাবে কাজ করে। একেবারে শুরুতে যা বলেছিলাম তার প্রতিফলনই আমরা দেখছি এই আইনটির ক্ষেত্রে। আমাদের জোড়ালো দাবি হওয়া উচিৎ স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় এই আইনটির সংস্কার নয় বাতিল করা।