ভয়ংকর রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের হোতা, হলুদ সাংবাদিক গং—
প্রতিবেদক শেখ তিতুমীর : একটি জাহাজের ক্যাপ্টেন যদি দক্ষ হন তাহলে সেই জাহাজের যাত্রীরা নিরাপদে এবং সাচ্ছন্দে গন্তব্যের দিকে ধাবিত হন আর ক্যাপ্টেন যদি অদক্ষ হন তাহলে জাহাজ যে কোন সময় দিকভ্রান্তে পরিণত হতে পারে এমনকি যে কোন সময় জাহাজের যাত্রীদের প্রাণনাশের সম্ভাবনা থাকে। সম্পাদক হচ্ছেন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ, তার দ্বায়িত্ব হল একটি গণমাধ্যমের সঠিকভাবে হাল ধরে সঠিক পথে পরিচালনা করা, যেমনটি করে থাকেন একজন জাহাজের ক্যাপ্টেন।
আসুন মূল কথায়?
কিন্তু একজন সম্পাদকের যদি সাংবাদিকতা স্বম্পর্কে কোন পূর্বঅভিজ্ঞতা না থাকে, তবে সে সংবাদমাধ্যমের অবস্থা কী রকম হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। সাংবাদিকতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে সম্পাদক শুধু একজন ব্যাক্তি নন সম্পাদক নিজেই একটি প্রতিষ্টান, একটি প্রতিষ্ঠান যেমন দু-একদিনে গড়ে উঠেনা ঠিক তেমনি একজন প্রকৃত সম্পাদকও একদিনে গড়ে উঠেনা না।
পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মূলধারার গণমাধ্যমেই দীর্ঘদিনের অভিঙ্গতা সম্পন্ন মেধাবীরাই সম্পাদকের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ অলংকৃত করেন। তারা দিনের পর দিন কাজের মধ্য দিয়ে সম্পাদক হিসেবে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করেন।
পৃথিবীতে একমাত্র বাংলাদেশেই বোধ হয় কোনো সংবাদপত্র বা সংবাদমাধ্যমের মালিক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক বা প্রধান হওয়া অথবা তার পছন্দের কোন পূর্বাভিজ্ঞতা বিহীন রাজনৈতিক ব্যাক্তি অথবা আমলাকে সম্পাদক বানানোর নজির রয়েছে। অনভিজ্ঞ ব্যাক্তিকে সম্পাদক বানানো যে কোনো সংবাদমাধ্যমের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে।
কেননা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মতো সংবাদমাধ্যমেও সম্পাদক দলনেতার দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের অনেক ব্যাবধান। সংবাদমাধ্যমে একটি সৃজনশীল দলের দলনেতা হলেন সম্পাদক। সম্পাদক নিজেই যদি সে সৃজনশীলতা সম্পর্কে দক্ষ না হন, তবে সেখানে আর যা-ই হোক, সাংবাদিকতা হতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশে অনভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, সাবেক আমলা, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, সিরামিক ব্যবসায়ী, প্রসাধনীর ব্যবসায়ী থেকে এনজিওর মালিকও সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকীয় পদ অলংকৃত করছেন।
একজন অনভিজ্ঞ অথবা দলকানা বাক্তিকে সম্পাদক বানানো আর ছাগল দিয়ে হাল চাষ করানো একই কথা। কারন জনসম্পৃক্ত এই সৃজনশীল প্লাটফর্মের দ্বায়িত্ব, সাংবাদিকতায় অদক্ষ কোন বিশেষ দলের দালালের হাতে গেলে সে তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সেই সংবাদমাধ্যমকে বিশেষ কোন দলের ভোট পাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করবে। আর এই স্বার্থ হাসিলের জন্য সে সাংবাদিকতার সব নিয়মকান লংঘন করে বিভ্রান্তি ছড়াতে অথবা নিরপেক্ষতার মুখে চুনকালি মেখে একটি সংবাদমাধ্যমকে অপপ্রচারের মেশিনে পরিণত করতেও দ্বিধাবোধ করবে না।
যেমন আমি যখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করতাম পাশাপাশি সাংবাদিকতা ও করতাম তখন নীতি নিষ্টার পথে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে দেখেছি অনেক কিছু
তার একটি প্রমান সহ উদ্ধাহারন দেই —
২০০৮ সালে আর্থিকভাবে দুর্দশাগ্রস্ত আমার দেশের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেন মাহমুদুর রহমান। তখন থেকেই তিনি ওই পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। হঠাৎ করে হাতে আসমান পাওয়া, অনভিজ্ঞ, অপেশাদার, বিশেষ এক রাজনৈতিক দলের দালাল মাহমুদুর রহমান সংবাদপত্রের সম্পাদক সেজে সাংবাদিকতার ন্যায় নীতি সম্পূর্ণরুপে বিসর্জন দিয়ে, ধীরে ধীরে আমার দেশ পত্রিকাকে তৃতীয় শ্রেণির লিফলেট পত্রিকায় (অনেকের মতে টয়লেট পেপারে) পরিণত করেন।
সংবাদপত্রের মূলনীতি বিন্দুমাত্র অনুসরণ না করে বিভিন্ন দল এবং গুষ্ঠির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বিশেষ এক দলের ভোটার সংগ্রহের লক্ষে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করতে থাকা মাহমুদুর রহমান অল্পদিনেই আমার দেশ পত্রিকাকে, আমার পাকিদেশে পরিণত করেন।
সাথে, রাজাকার রক্ষার মিশন বাস্তবায়নে নামা মাহমুদুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের চেষ্ঠার কোন কমতি করেননি।
সেই সময় আমরা যারা প্রকৃত ভাবে সাংবাদিকতা করতাম তারা ছিলো বিভিন্ন হামলা,মামলা ও হুম্কির শিকার, সেই দিন গুলো মনে পড়লে আজো খুব কষ্টো লাগে তবে সেই হামলা মামলা হয় তো আজ হয় না আমাদের প্রতি কিন্তু না খেয়ে মরছি এটা ঠিক আছে — কিন্তু একদিন আবার যখন সেই মাহমুদুর রহমানের মতন কিছু কুলাঙ্গারা আছে তারা মাঠে নামবে নতুন করে প্রাধান্য পাবে তখন আমারা হব আবার তাদের হুমকির পুতুল।
আজো আমরা প্রকৃত যারা গনমাধ্যম কর্মী তারা সত্যিই খুব কষ্টে আছি, মাঝে মাঝে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেখি কিছু কিছু সাংবাদিক আমলারা, বিভিন্ন পত্রিতা বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের ব্যানারে এসে চেচিয়ে বলে সরকারের বাজে সমালোচনা করে, তারা কিন্তু সুভিদাবাদী বিএনপি জামাতের সময় তারা ছিলো বড় বড় ক্যাডার আজ হয়েছে পত্রিকার রিপোর্টার, সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা, দিনের পর দিন হচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন আইপি টিভি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত সাংবাদিক সংগঠনের বড় বড় নেতা, মূলত তারাই এদেশ টাকে স্বাধীনতার পর থেকে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ রাষ্ট্রের পরিনিত করতে চাইছে এখনো আছে সাংবাদিক নাম টা ব্যবহার করে বাংলার আনাচে -কানাচে।
এদের দিকে সরকার ও মানবতার পক্ষীয় সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী, ও রাজনৈতিক আমলাদের নজর রাখার খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।
এখানে আমাদের শেষ নয় এখানে আমাদের শুরু মনে করে দেশ ও জাতির জন্য কিছু করতে হবে এবং হলুদ সাংবাদিকদের চিন্হিত করে বর্জন করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.